শিশু ধর্ষণের অপরাধে একজনের যাবজ্জীবন
রাজধানীর বনানীতে এক শিশুকে ধর্ষণের মামলায় জুয়েল নামে এক ভাড়াটিয়াকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন ট্রাইব্যুনাল। আজ বুধবার (৫ মে) ঢাকার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৭ এর বিচারক সাবেরা সুলতানা খানম এই আদেশ দেন। এদিন বিচারক কারাদণ্ডের পাশাপাশি আসামিকে ২০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড এবং অনাদায়ে আরও তিন মাস কারাদণ্ড ভোগের নির্দেশ দেন।
আদালতের বেঞ্চ সহকারী (পেশকার) আলম আসামির সাজার এ তথ্য নিশ্চিত করে বলেন, আসামিকে সাজা পরোয়ানাসহ কারাগারে পাঠানো হয়েছে। রায় দেওয়ার সময় আসামি আদালতে হাজির ছিলেন।
মামলার নথি থেকে জানা গেছে, শিশুটি দিনমজুর বাবা-মায়ের সঙ্গে রাজধানীর মহাখালীর সাততলা আইপিএইচ জামে মসজিদ সংলগ্ন এলাকায় থাকতো। ২০১৮ সালের ১৩ নভেম্বর সকালে বাবা-মা কাজের উদ্দেশে বের হয়। সাড়ে ৯টার দিকে ওই শিশু স্কুলে যাওয়ার উদ্দেশে ঘরে তালা দেওয়ার সময় পাশের বাসার ভাড়াটিয়া জুয়েল তাকে ডেকে নিজের কক্ষে নেয়। পরে তাকে ১০ টাকা দিতে চায়। টাকা নিতে অস্বীকৃতি জানালে জুয়েল জোর করে তাকে ধর্ষণ করে। এ ঘটনায় পর দিন তার বাবা বনানী থানায় মামলা করেন।
মামলার পরে ২০১৯ সালে ১২ মে আসামি জুয়েলের বিরুদ্ধে ঢাকার সিএমএম আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন বনানী থানার উপপরিদর্শক (এসআই) সাদিয়া শারমীন। ওই বছরের ১৭ সেপ্টেম্বর জুয়েলের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন ও বিচার শুরু করেন আদালত। মামলার বিচার চলাকালে আদালত ১৩ জন সাক্ষীর মধ্যে সাতজনের সাক্ষ্যগ্রহণ করেন। আসামি জুয়েল শেরপুরের নালিতাবাড়ী থানার কালিনগর গ্রামের মৃত তোতা আলীর ছেলে।