সাধারণ গরু গাবতলীর হাটে এসে হয়ে গেল জায়েদ খান!
গরুটি এসেছে সাতক্ষীরার সদর থানা এলাকা থেকে। বাসাবাড়িতেই লালন-পালন হয়েছে তার। এই গরুটির মালিক শরিফুল ইসলাম। দেখতে বেশ নাদুসনুদুস। ওজনও বেশ। শরিফুলের ছোটভাই রবিউলের দাবি, ৯৭৫ কেজি। গত সোমবার আনা হয় গাবতলীর হাটে। জায়গা হয় এক নম্বর গেটের পাশের চাতালে। তারপর থেকে শুরু হয় তাকে ঘিরে ছবি তোলা, সেল্ফিবাজি। আজ শুক্রবার জুমার পর গরুটির পাশে দাঁড়িয়ে একজন ছবি তুলছিলেন। ছবি তুলতে তুলতে তিনি বলছিলেন, ‘গরুর ঝুটিটি (ঘাড়ের উঁচু অংশ) সুন্দর। এজন্য দেখতে ভালো লাগছে।’
শরিফুল ইসলাম জানান, তিনি চার বছর যাবৎ লালন-পালন করছেন। যখন এক বছরের বাছুর, তখন তাকে কেনেন। মানে, গরুটির বয়স এখন পাঁচ বছর। তিনি আরও জানান, ‘নেপাল গিড’ জাতের গরুটি আট লাখ টাকায় বিক্রি করতে চান।
গরুটির একটি ভিডিও দেখা গেল ইউটিউবে। সেখানে এক কন্টেন্ট ক্রিয়েটর রবিউলের কাছে জানতে চান, গরুটির নাম কী দিয়েছেন? জবাবে রবিউল বলেন, ‘জায়েদ খান। জায়েদ খানকে খুব ভালোবাসি, তাই এই নাম দিয়েছি।’
রবিউল বলতে থাকেন, ‘জায়েদ খানের যেমন বডি ফিগার, আমার গরুরও তেমন বডি ফিগার। উনার যেমন চেহারা-ছবি, আমার গরুর সবদিক থেকে একি মেকাপের। তাই আমিই গরুর নাম জায়েদ খান রাখছি।’
ওই ভিডিওটি দেখেই মূলত এ প্রতিবেদক নামকরণের বিষয়টি জানার চেষ্টা করেন। এরপর গরুটি গাবতলীর হাটে কোথায় রাখা আছে, তা খুঁজতে শুরু করেন। হাটের ভেতরে অনেকক্ষণ খোঁজার পর গরুটির অবস্থান শনাক্ত করা যায়। এ প্রতিবেদকের সঙ্গে প্রথমে কথা হয় রবিউল ইসলামের সঙ্গে। প্রথমেই প্রতিবেদক নিজেকে সাতক্ষীরার সন্তান বলে পরিচয় দেন। এরপর রবিউল গরুটি লালন-পালন থেকে শুরু করে নানান বিষয়ে স্বাচ্ছন্দ্যে কথা বলছিলেন।
কথা বলতে বলতে সে সময় গরুটিকে ধানের গাছ খাওয়ানো হচ্ছিল। গরুটির মুখের কাছে একটি টেবিল ফ্যান চলছিল। মাথার ওপর আরেকটি সিলিং ফ্যান চলছিল। তখনও কথা চলছিল। কথার একপর্যায়ে এ প্রতিবেদক রবিউলের কাছে জানতে চান, গরুটির নাম জায়েদ খান কবে দিয়েছেন? জবাবে রবিউল বলেন, ‘আপনি এলাকার মানুষ। মিথ্যা বলব না। হাটে আসার পর গরুর নাম জায়েদ খান দিয়েছি। জায়েদ খান নাম দেওয়ার পর থেকে প্রচুর লোক গরুটি দেখতে আসা শুরু করে। আশা করি, দ্রুতই বিক্রি হয়ে যাবে।’