জমে উঠেছে কাঠের গুঁড়ি-চাটাইয়ের কেনাবেচা
পবিত্র ঈদুল আজহা কাল। রাজধানীবাসী ইতোমধ্যে পশু কোরবানি দেওয়ার জন্য পশু কিনেছেন। সেই পশু কোরবানির পশুর মাংস কাটার কাজে ব্যবহৃত সরঞ্জাম হিসেবে কাঠের গুঁড়ি বা খাইট্টা এবং হোগলা পাতায় বোনা হোগলা পাটির কদরও বেড়েছে। কোরবানি ঘিরে এসব পণ্যের বাজার জমে উঠেছে।
আজ রোববার (১৬ জুন) বিকেলে রাজধানীর কারওয়ান বাজারে ঘুরে এই চিত্র দেখা গেছে। এছাড়া রাজধানীর বিভিন্ন পাড়া মহল্লায় অস্থায়ীভাবে অনেক মৌসুমি ব্যবসায়ী এগুলো বিক্রি করছেন। তার মধ্যে মানিকনগর, শনিরআখড়া, মুগদা, মান্ডা, মিরপুর, রামপুরাতে গিয়ে তথ্য দেখো গেছে। সেখানে আকার ভেদে প্রতিটি পাটি ৩০০ থেকে ৭০০ টাকা ও আর প্রতিটি খাইট্টা বিক্রি হচ্ছে ৩০০ থেকে সর্বোচ্চ ৫০০ টাকায়।
কারওয়ান বাজারে বিক্রেতা সোলেমান বলেন, কোরবানি ঈদের আগেই অস্থায়ীভাবে এই গুলো বিক্রি করি। প্রতিটি কাঠের গুঁড়ি বা হোগলা পাতা ১০০ থেকে ১৫০ টাকা পর্যন্ত বেশি রাখছি। এটাই আমাদের লাভ। তিনি বলেন. এছাড়া কোরবানির পশুর খাবার খড়, ভুসি, ঘাস বিক্রি হয়।
বিক্রেতা মোক্তার হোসেন বলেন, দুপুরে যা বিক্রি করছি, তা সন্ধ্যার পর আরও বেড়ে যাবে। তখন ৩০০ টাকার গুঁড়ি ৩৫০-৪০০ টাকা হয়ে যাবে। তবে ক্রেতার চাপের ওপর দাম নির্ভর করবে।এছাড়া রাতের মধ্যেই সবাই পশু কিনে ফেলবেন। তখনই গুড়ি ও খাইট্টা ক্রয় করবেন সবাই। গুঁড়ি প্রধানত তেঁতুল কাঠ দিয়ে হয়। এগুলো গুঁড়ি সদরঘাট থেকে পাইকারি আনা হয়। এছাড়া হোগলা পাতার পাটি আনা হয় রাজধানীর মোহাম্মদপুর বেড়িবাঁধ এলাকা থেকে।
খাইট্টা কিনতে আসা সামসুল আরেফিন বলেন, আজ সকালে পশু ক্রয় করেছি। এখন পশু কোরবানি দেওয়ার পরে মাংস কাটাকাটির জন্য খাইট্টা ও হোগলা প্রয়োজন। তাই এটা কিনতে এসেছি। গতবারের তুলনায় কিছুটা বেশি মনে হচ্ছে। তাও ঈদের আনন্দের কারণে এটা বেশি মনে হচ্ছে না। তবে পশু কোরবানি দেওয়ার পরে কসাই পাওয়াটা নিয়ে টেনশানে রয়েছি।
আরেক ক্রেতা রিয়াজুল বলেন, মাঝারি আকারের একটি পাটি ৪০০ টাকা দাম বলছে। অথচ গতবার এ রকম পাটি কিনেছি ১০০ টাকায়। সবকিছুর দাম বাড়ার অজুহাতে তারাও বাড়তি দাম হাঁকাচ্ছে। প্রতিটি বড় সাইজের খাইট্টা ৫০০ থেকে ৬০০ টাকা দাম চাচ্ছে। মাঝারি সাইজের খাইট্টা ৩৫০ টাকা থেকে ৪০০ টাকা এবং ছোট সাইজের খাইট্টা ২০০ থেকে ২৫০ টাকা দাম চাচ্ছে।
এদিকে অনেক ক্রেতা ছাগলের জন্য কাঁঠালপাতা, গরুর জন্য ভূষি, খড়, খইলসহ অনেক কিছু কিনছেন। যা প্রতি আঁটি খড় ৪০ থেকে ৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে, প্রতি আঁটি ঘাস ৮০ টাকায় ও কাঁঠাল পাতার দুটি ডাল ৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।