ছাগলের দাম কেন ১৫ লাখ টাকা?
একটি ছাগল নিয়ে চলছে নানা আলোচনা-সমালোচনা। ১৫ লাখ টাকার ছাগল নাকি কিনতে চেয়েছিলেন এক যুবক। লাখ টাকা অ্যাডভান্সও দিয়েছিলেন তিনি। এরপরই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম সরব হয়ে ওঠে। চাউড় হয়, মুশফিকুর রহমান ইফাত নাকি কোনো একজন রাজস্ব কর্মকর্তার ছেলে। এই নিয়ে যখন এত জল্পনা-কল্পনা, তখন একটি ছাগলের দাম কেন লাখ টাকা, তা নিয়েও প্রশ্ন ওঠান নেটিজেনরা।
যে ছাগলের দাম নিয়ে কথা চলছে তা সাদিক এগ্রোর বলে জানা গেছে। ওই ফার্মের মালিক মোহাম্মদ ইমরান হোসেন জানান, পৃথিবীর সবচেয়ে বড় জাতের ছাগল এটি। এ জাতের নাম ‘বিটল’ এবং ‘বাংলাদেশে এটি এ যাবৎকালের সবচেয়ে বড় ছাগল।’
বিবিসি নিউজ বাংলার এক প্রতিবেদনে এসব তথ্য তুলে ধরা হয়। আজ বুধবার (১৯ জুন) প্রকাশিত প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, আলোচিত ওই ধূসর বাদামি রঙের ছাগলটির ওজন ১৭৫ কিলোগ্রাম এবং উচ্চতা ৬২ ইঞ্চি। ব্রিটিশ গণমাধ্যমটিকে ইমরান জানান, ‘বিরল প্রজাতির এই ছাগল বাংলাদেশে এখন একটিই আছে।’
এটি আমদানি করা হয়েছিল কিনা জানতে চাইলে ইমরান জানান, আজ থেকে দুমাস আগে ছাগলটি যশোরের একটি হাট থেকে ক্রয় করা হয়েছিল।
যশোরের হাটে এই ছাগল কীভাবে এলো—এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, ‘আমরা তা জানি না। তবে, এমন ছাগল, বড় বড় গরু প্রাথমিকপর্যায়ে গ্রামে-গঞ্জে, হাটেই বিক্রি হয়। হাট থেকে কিনে এনে আমরা সেগুলো লালন-পালন করে বিক্রি করি।’ তিনি আরও বলেন, ‘আমাদের কাছে যখন ছাগলটির তথ্য আসে, তখন আমরা সঙ্গে সঙ্গে টাকা দিয়ে লোক পাঠিয়ে সেটি কিনে আনি। কারণ, আমাদের কাছে ছাগলটাকে খুব ভালো লেগেছে।’
ইমরানের দাবি, ছাগলটির ১০ লাখ ৩৫ হাজার টাকায় কেনা। তার সঙ্গে ছিল আনুষঙ্গিক আরও খরচ। সেজন্যই এর দাম নির্ধারণ করা হয়েছিল ১৫ লাখ টাকা। ছাগলের দাম বেশি হওয়ার আরেকটি কারণ হল উন্নত জাত ও বংশমর্যাদা। এখানে বংশমর্যাদার বিষয়টি ঠিক কী, তা জানতে চাইলে ইমরান বলেন, ভালো বংশমর্যাদার ছাগল বা গরুর ক্ষেত্রে বিক্রির সময় ক্রেতার কাছে সার্টিফিকেট দেখানো হয়।