সাগর-রুনি হত্যা : ফের পেছাল তদন্ত প্রতিবেদন
সাংবাদিক দম্পতি সাগর সরওয়ার ও মেহেরুন রুনি হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় দায়ের করা মামলার তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের তারিখ পিছিয়েছে। আজ রোববার (৩০ জুন) ঢাকার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মাহবুবুল হক নতুন এদিন ঠিক করেন। এদিন তদন্ত কর্মকর্তা প্রতিবেদন দাখিল না করায় বিচারক নতুন দিন ধার্য করেন।
নথি থেকে জানা গেছে, ২০১২ সালের ১১ ফেব্রুয়ারি রাজধানীর পশ্চিম রাজাবাজারের ভাড়া বাসায় খুন হন মাছরাঙা টেলিভিশনের বার্তা সম্পাদক সাগর সরওয়ার ও এটিএন বাংলার জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক মেহেরুন রুনি। পরদিন ভোরে তাঁদের ক্ষতবিক্ষত লাশ উদ্ধার করা হয়।
এ ঘটনায় রুনির ভাই নওশের বাদী হয়ে রাজধানীর শেরে বাংলানগর থানায় একটি মামলা করেন। মামলার পর রুনির কথিত বন্ধু তানভীর রহমানসহ মোট আটজনকে আটক করা হয়।
বাকিরা হলেন—রফিকুল ইসলাম, বকুল মিয়া, মিন্টু ওরফে বারগিরা মিন্টু ওরফে মাসুম মিন্টু, কামরুল হাসান অরুণ, পলাশ রুদ্র পাল, তানভীর রহমান, আবু সাঈদ ও বাড়ির নিরাপত্তারক্ষী এনাম আহমেদ ওরফে হুমায়ুন কবির। এর মধ্যে পলাশ রুদ্র পাল ও তানভীর রহমান জামিনে রয়েছেন।
তদন্তের হালচাল
সাগর-রুনি হত্যা মামলাটির তদন্তভার প্রথমে পায় শেরে বাংলানগর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) জহুরুল ইসলাম। এরপর ২০১২ সালের ডিবি উত্তরের পুলিশ পরিদর্শক মো. রবিউল আলম তদন্ত শুরু করেন। হাইকোর্ট বিভাগের এক রিট পিটিশনে ২০১২ সালের ১৮ এপ্রিল মামলার তদন্তভার র্যাবের কাছে দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়।
এরপর ১৯ এপ্রিল র্যাব সদর দপ্তরের সিনিয়র পুলিশ সুপার মো. জাফর উল্লাহ মামলার তদন্তভার গ্রহণ করেন। র্যাবের এ তদন্ত কর্মকর্তা জাতিসংঘের শান্তিরক্ষা মিশনে যাওয়ার কারণে ২০১৪ সালের ১২ মার্চ তদন্তভার পান র্যাব সদর দপ্তরের সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার মো. ওয়ারেছ আলী মিয়া।
এরপর র্যাব সদর দপ্তরের সহকারী পুলিশ সুপার মহিউদ্দিন আহম্মেদ ২০১৫ সালে তদন্তভার গ্রহণ করেন। সর্বশেষ মামলাটি র্যাব সদর দপ্তরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শফিকুল ইসলাম তদন্ত করছেন।