সাংবাদিকদের নিয়ে লায়লা কানিজের বক্তব্য ‘উদ্দেশমূলক’, প্রত্যাহারের দাবি ডিইউজের
সাংবাদিকদের নিয়ে ছাগলকাণ্ডে বিতর্কিত জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) থেকে সাময়িক বরখাস্ত সদস্য মতিউর রহমানের স্ত্রী লায়লা কানিজ। নরসিংদীর রায়পুরা উপজেলার এই চেয়ারম্যান গত বৃহস্পতিবার (২৭ জুন) ‘বড় বড় সংবাদিকদের ম্যানেজ করেই এখানে এসেছি। পাছে লোকে কত কিছুই বলে। তাতে কিছু আসে যায় না এই চেয়ারম্যান লাকির’ বলে মন্তব্য করেন। এর তিন দিন পর আজ এক বিবৃতিতে লাকির বক্তব্যকে উদ্দেশমূলক বলে মন্তব্য করেছে ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়ন (ডিইউজে)। একইসঙ্গে এই বক্তব্য প্রত্যাহার করে তাকে নিঃশর্ত ক্ষমা চাওয়ার দাবিও জানিয়েছেন ইউনিয়ন নেতারা।
বিবৃতিতে ডিইউজে সভাপতি সোহেল হায়দার চৌধুরী এবং সাধারণ সম্পাদক আকতার হোসেন বলেন, গত বৃহস্পতিবার (২৭ জুন) নরসিংদী জেলার রায়পুরা উপজেলা চেয়ারম্যান লায়লা কানিজ লাকী সাংবাদিকদের সম্পর্কে কূরুচিপূর্ণ ও হীন উদ্দেশমূলক মন্তব্য করেছেন। তিনি বলেছেন, ‘বড় বড় সাংবাদিকদের কিনেই তারপর এসেছি। সব থেমে যাবে।’ তার এই হীন বক্তব্য সাংবাদিক সমাজকে মর্মাহত করেছে। এ ধরনের উদ্দেশমূলক হীন বক্তব্য অবিলম্বে প্রত্যাহার এবং একইসঙ্গে তাকে নিঃশর্ত ক্ষমা চাইতে হবে।
নেতৃবৃন্দ বলেন, এ ধরনের বক্তব্যর মাধ্যমে ‘শাক দিয়ে মাছ ডাকতে পারবেন না’ লায়লা কানিজ। মতিউর রহমানসহ তার পরিবারের সদস্যদের সম্পর্কে যে দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে সেগুলো সাংবাদিকরা প্রকাশ করবেই। উদ্দেশমূলকভাবে বাজে মন্তব্য করে দুর্নীতির সংবাদ প্রকাশে সাংবাদিকদের বিরত রাখা যাবে না।
বিবৃতিতে নেতৃবৃন্দ আরও বলেন, একজন জনপ্রতিনিধি হয়ে প্রকাশ্যে ও ঢালাওভাবে এ ধরনের কূরুচিপূর্ণ বক্তব্য সাংবাদিকদের নীতি-নৈতিকতার ওপর চরম আঘাত করেছে ও সমাজের কাছে সাংবাদিকদের হেয় প্রতিপন্ন করেছে। একজন জনপ্রতিনিধি হয়ে এ ধরনের ঔদ্ধত্যমূলক বক্তব্য দিয়ে তিনি যে অন্যায় করেছেন তা ক্ষমাহীন।
ডিইউজে মনে করে, কোনো সাংবাদিক যদি তার কাছ থেকে অনৈতিকভাবে অর্থ বা সুবিধা আদায় করেন, তাদের নামও প্রকাশ হওয়া উচিত। যদি প্রকৃতভাবে এমন কোনো ঘটনা ঘটে থাকে তাহলে লায়লা কানিজের উচিত হবে সুনির্দিষ্টভাবে ওই সাংবাদিকদের নাম বলা। ঢালাওভাবে সাংবাদিকদের সম্পর্কে কূরুচিপূর্ণ অভিযোগ গ্রহণযোগ্য নয়।
নেতৃবৃন্দ বলেন, একজন অনুসন্ধানী সাংবাদিকের কাজ অপরাধের শেকড় খুঁজে বের করা। তার প্রকাশিত প্রতিবেদনে তথ্য ও সত্যে গরমিল থাকলে যে কেউ প্রমাণ সাপেক্ষে সেটি নিয়ে অভিযোগ তুলতে পারেন। তবে দুর্নীতির সঙ্গে জড়িত থেকে সাংবাদিকদের সম্পর্কে উদ্দেশমূলক হীন বক্তব্য দেওয়া কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়।