বন্যায় খাগড়াছড়ির দীঘিনালায় ৩০ গ্রামের মানুষ পানিবন্দি
খাগড়াছড়ির দীঘিনালায় ভারী বর্ষণ ও পাহাড়ি ঢলে সৃষ্ট বন্যা পরিস্থিতি অপরিবর্তিত রয়েছে। বন্যায় উপজেলার তিনটি ইউনিয়নের ৩০ গ্রামের মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। যদিও খাগড়াছড়ির অন্যান্য এলাকায় বন্যা পরিস্থিতির কিছুটা উন্নতি হয়েছে। প্লাবিত এলাকার পানি নামতে শুরু করলেও অনেক এলাকায় এখনও বন্যার পানি আটকে আছে।
দীঘিনালায় উপজেলার বন্যার কারণে সাজেক সড়কের বাঘাইহাট ও মাচালং এলাকায় রাস্তায় পানি উঠায় দীঘিনালার সঙ্গে সাজেক এবং লংগদু উপজেলার সড়ক যোগাযোগ বন্ধ রয়েছে।
খাগড়াছড়ির জেলা প্রশাসক (ডিসি) মো. সহিদুজ্জামান এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
এদিকে মহালছড়ি-সিন্ধুকছড়ি-জালিয়াপাড়া সড়কের কাটাপাহাড় এলাকায় সড়কে ফাটল ধরায় যান চলাচল বন্ধ রয়েছে।
উপজেলা প্রশাসন জানায়, দীঘিনালা ৩০ গ্রামের মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। এসব পানিবন্দি এলাকায় ২১টি আশ্রয় কেন্দ্রখোলা হয়েছে।
মেরুং ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) চেয়ারম্যান মাহমুদা বেগম লাকী জানান, টানা ভারী বৃষ্টিতে মেরুং ইউনিয়নে প্রায় ২০টি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। এতে করে কয়েক হাজার মানুষ পানিবন্দি রয়েছে। উপজেলা প্রশাসন ও ইউনিয়ন পরিষদের মাধ্যমে আশ্রয়কেন্দ্রগুলোতে রান্না করা খাবার ও প্রয়োজনীয় সুপেয় পানির ব্যবস্থা করা হয়েছে।
তবে, খাগড়াছড়ি জেলা শহরের মুসলিমপাড়া, আরামবাগ, শান্তিনগর, বাঙ্গালকাটি, মিলনপুর, কল্যাণপুর, মেহেদিবাগ, কালাডেবা, ফুটবিল এবং গঞ্জপাড়া থেকে পানি নামতে শুরু করেছে।
খাগড়াছড়ি পৌরসভার মেয়র নির্মলেন্দু চৌধুরী জানান, পৌর এলাকায় ১৫টি আশ্রয়কেন্দ্র খোলা হয়েছে। আশ্রয়কেন্দ্রের মানুষের মধ্যে খিচুরি এবং শুকনা খাবার বিতরণ করা হয়েছে।
ডিসি মো. সহিদুজ্জামান জানান, পুরো জেলায় ১০০টি আশ্রয় কেন্দ্র খোলা হয়েছে। আশ্রয়কেন্দ্রগুলোতে শুকনো খাবার বিতরণ করা হচ্ছে। জেলার সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ছুটি বাতিল করা হয়েছে।