আদালত অবমাননা : ভিপি নুরের হাইকোর্টের রায় ১১ জুলাই
আদালত অবমাননার অভিযোগ থেকে নিঃশর্ত ক্ষমা চাওয়া গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি ও ডাকসুর সাবেক ভিপি নুরুল হক নুরের বিষয়ে হাইকোর্টের রায় ১১ জুলাই দিন নির্ধারণ করেছে হাইকোর্ট। আজ বুধবার (৩ জুলাই) বিচারপতি জে বি এম হাসান ও বিচারপতি রাজিক–আল–জলিলের হাইকোর্ট বেঞ্চে উপস্থিত হয়ে তিনি আইনজীবীর মাধ্যমে নিঃশর্ত ক্ষমা চান। এরপর উভয় পক্ষের শুনানি শেষে আদালত রায়ের জন্য ১১ জুলাই দিন ধার্য করেন।
আদালতের ভিপি নুরের পক্ষে শুনানি করে সিনিয়র আইনজীবী জয়নুল আবেদীন, ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন ও ব্যারিস্টার কায়সার কামাল। আর রাষ্ট্র পক্ষে শুনানি করেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল কাজী মাঈনুল হাসান।
আজকের শুনানিতে আইনজীবীর মাধ্যমে নুর নিঃশর্ত ক্ষমা চান। এ ছাড়া এবারই প্রথম তার বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার অভিযোগ এবং ভবিষ্যতে আদালত নিয়ে বক্তব্য দেওয়ার ক্ষেত্রে সচেতন থাকবেন বলে আদালতে কাছে ক্ষমার প্রার্থনা করেন নুর।
অন্যদিকে, রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী আদালতকে বলেন, উনি (নুর) আজ অনুতপ্ত হয়ে ক্ষমা চাচ্ছেন। তবে উনার বক্তব্যের মাধ্যমে বিচার বিভাগের যে ক্ষতি হবার তা হয়ে গেছে। তাই অবশ্যই তাকে একটা প্রতীকী দণ্ড দেওয়া হোক।’
এদিকে শুনানিতে হাইকোর্ট নুরকে উদ্দেশ্য করে বলেন, ‘একজন রাজনীতিবিদের কথায় কাজে সচেতনতা থাকা জরুরি। আদালত মর্যাদা রক্ষা সকল নাগরিকের দায়িত্ব। রাজনীতিবিদের কথায় উসকানি থাকলে তার বিরূপ প্রভাব সাধারণ মানুষ বা কর্মীর মধ্যে পৌঁছে যায়। এবিষয়ে সবার সতর্ক থাকা দরকার।’
ডাকসুর সাবেক ভিপি নুরের বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার একটি অভিযোগ প্রধান বিচারপতি বরাবর উপস্থাপন করা হলে প্রধান বিচারপতি বিষয়টি বিচারপতি জে বি এম হাসান ও বিচারপতি রাজিক–আল–জলিলের হাইকোর্ট বেঞ্চে শুনানির জন্য পাঠান। সে ধারাবাহিকতায় হাইকোর্ট বেঞ্চ স্বপ্রণোদিত হয়ে গত ১৭ ডিসেম্বর রুল জারির পাশাপাশি ভিপি নুরকে তলব করেন।