আজিজ-বেনজীরকে কেন গ্রেপ্তার করা হচ্ছে না, প্রশ্ন ফারুকের
বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা জয়নুল আবদিন ফারুক বলেছেন, পাকিস্তানের বিরুদ্ধে লড়াই করে দেশ স্বাধীন করেছি। গোলামির জন্য নয়। আজকে চোর, ডাকাত সরকার বেগম খালেদা জিয়াকে জেলে বন্দি করে রেখেছে।
আজ বুধবার (৩ জুলাই) বিকেলে বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় এক সমাবেশে জয়নুল আবদিন ফারুক এসব কথা বলেন। জেলা বিএনপি এ সমাবেশের আয়োজন করে।
এ সময় ফারুক আরও বলেন, আজকে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে দেখলাম, সংসদের ডেপুটি স্পিকারের ছেলে ২০০ কোটি টাকা কর না দিয়ে থাইল্যান্ড চলে গেছেন। তাদের গ্রেপ্তার করা হয় না। লজ্জা হয় না, আজিজকে কেন গ্রেপ্তার করা হয় না। তাদের আইনের আওতায় আনা হলো না। এই প্রশ্ন এখন জনগণের কাছে। পাড়া-মহল্লায় পুলিশ দিয়ে দমিয়ে রাখবেন। সময় কিন্তু শেষ এভাবে আর দামিয়ে রাখতে পারবেন না।
ফারুক বলেন, পৃথিবীর ইতিহাস বলে স্বৈরাচার কিছুদিন থাকতে পারে। ব্রিটিশ, পাকিস্তানের গোলামী করেছে দেশের মানুষ। আমি কিন্তু বাংলাদেশি, আমরা কারো গোলামি করেনি। আপনারা কি শেখ হাসিনার গোলামী করবেন? আমাদের মা খালেদা জিয়াকে মুক্তি দিতে হবে।
হাছান মাহমুদ (পররাষ্ট্রমন্ত্রী) বলেন, আমাদের নেতা তারেক রহমানকে নাকি চুপিচুপি দেশে নিয়ে আসবেন। এত সহজ নয়। আওয়ামী লীগের সেই শক্তি নেই। তারেক রহমান যেদিন বাংলাদেশে আসবেন, সেইদিন বাংলদেশের বিমানবন্দরে জায়গা হবে না। তারেক রহমানের বাংলাদেশে আসা ঠেকাতে পারে সেই শক্তি আওয়ামী লীগের নাই। দোয়া করি, আল্লাহ যেন তাকে যেন সুস্থ রাখেন।
জয়নুল আবদিন আরও বলেন, নেতাকর্মীরা বহু জেল জুলুম নির্যাতন সহ্য করেছেন। আর অল্প কিছু দিন সহ্য করুন। বীরের বেশে তারেক রহমান বাংলাদেশে ফিরে আসবে। ৭ জানিয়ারি তারেক রহমান দেখিয়ে দিয়েছেন। তার ডাকে সাড়া দিয়ে দেশের মানুষ ভোটকেন্দ্রে যায়নি। মানুষ বুঝিয়ে দিয়েছে। কদিন আগে উপজেলা নির্বাচন হয়েছে এখানেও ভোটকেন্দ্রে মানুষ যায়নি। সরকারকে বলতে চাই, বেনজীরকে খুঁজে আনেন জেলে ভরেন। তাহলে বুঝবো আপনারা জনগণের পক্ষে চোরের পক্ষে নয়। পুলিশ প্রশাসনের সব লোককে খারাপ বলবো না। কিছু অসাধু লোকের জন্য পুরো বাহিনীকে খারাপ বলা যাবে না।
সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন জেলা বিএনপির আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট আব্দুল মান্নান। সঞ্চালনা করেন সদস্য সচিব সিরাজুল ইসলাম সিরাজ। এতে প্রধান বক্তা ছিলেন বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক অধ্যক্ষ সেলিম ভূঁইয়া। আরও বক্তব্য দেন বিএনপিনেতা শেখ মোহাম্মদ শামীম, কৃষিবিদ মেহেদী হাসান পলাশ, তরুণ কুমার দে, বেলাল উদ্দিন সরকার তুহিন, নুরে আলম সিদ্দিকী, আরিফুর রহমান শামীম ভিপি, শামীম আসাদুজ্জামান শাহিন, তাজুল ইসলাম (ভিপি তাজুল) প্রমুখ।