মুক্তিযোদ্ধাদের সম্মানিত করার পরিকল্পনা আইজিপির
পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন বলেছেন, ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধে দেশ স্বাধীন করতে পাকহানাদার বাহিনীর বিপক্ষে যারা বিরল অবদান রেখেছেন আগামীতে তাদের সম্মানিত করার পরিকল্পনা রয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার (৪ জুলাই) রাজারবাগ পুলিশ লাইন্স অডিটরিয়ামে আয়োজিত সাবেক আইজিপি বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল খালেক আর্ট গ্যালারির উদ্বোধন এবং মুক্তিযুদ্ধে পুলিশ, বাংলাদেশ পুলিশ একাডেমি গ্রন্থের মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠানে আইজিপি এ পরিকল্পনার কথা বলেন।
অনুষ্ঠানে মুখ্য আলোচক ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদের ইমেরিটাস অধ্যাপক হাশেম খান।
আইজিপি বলেন, ১৯৭৫ সালে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে হত্যার পর নানাভাবে মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস বিকৃতি করার অপচেষ্টা হয়েছিল। কিন্তু, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার তৎপরতায় মুক্তিযুদ্ধের সঠিক ইতিহাস সংরক্ষণে বিভিন্ন উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়। এরই একটি অন্যতম প্রচেষ্টা বাংলাদেশ পুলিশ মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর।
আইজিপি বলেন, আমরা মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরের জন্য বিভিন্ন স্মারক সংরক্ষণ ও সম্প্রসারণের জন্য প্রয়োজনীয় উদ্যোগ গ্রহণ করছি এবং এগুলো সমৃদ্ধ করার জন্য আমরা সক্রিয় প্রচেষ্টায় আছি। যে কেউ আমাদের এই সংগ্রহশালা নির্ভরযোগ্য এবং স্বাধীনতা যুদ্ধের তথ্য দিতে চান বিশেষ করে পুলিশ সম্পর্কিত কোনো তথ্য হলে আমরা বেশি প্রাধান্য দিয়ে তা গ্রহণ করব।
আবদুল্লাহ আল-মামুন জানান, সাবেক আইজিপি বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল খালেক আর্ট গ্যালারির জন্য চিত্রকল্প খুঁজতে প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়। সেখান থেকে উল্লেখযোগ্য ৬১টি চিত্রকর্ম গ্যালারিতে স্থাপন করা হয়েছে।
মুক্তিযুদ্ধে সাবেক আইজিপির নামে আর্ট গ্যালারি নামকরণের কারণ উল্লেখ করে চৌধুরী আবদুল্লাহ আল মামুন বলেন, তিনি সে সময় পুলিশ একাডেমিতে কর্মরত ছিলেন। সেখান থেকে দেশের স্বাধীনতার জন্য সক্রিয়ভাবে যুদ্ধের সংগঠকসহ বিভিন্ন দায়িত্ব পালন করেছেন।
আবদুল্লাহ আল-মামুন আরও বলেন, জীবন, পরিবার ও চাকরির মায়া ত্যাগ করে যে সব পুলিশ সদস্য মহান মুক্তিযুদ্ধ অংশগ্রহণ করেছেন, সে সব বীর পুলিশ সদস্যদের সম্মানিত করা বর্তমান পুলিশের দায়িত্ব। এই দায়িত্ব থেকে পুলিশ জাদুঘরে আব্দুল খালেক আর্ট গ্যালারি স্থাপন করা হয়েছে। যাতে করে সারাজীবন তার নামটি এখানে শোভা পায়।
ডিএমপি কমিশনার হাবিবুর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত আইজি (প্রশাসন) মো. কামরুল আহসান ও পুলিশের স্পেশাল ব্রাঞ্চ (এসবি) প্রধান ও অতিরিক্ত আইজিপি মো. মনিরুল ইসলাম।