সাপের দংশনে চিকিৎসায় সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরলেন কৃষক
মাদারীপুরের শিবচরে এক কৃষক রাসেলস ভাইপারের দংশনের পর চিকিৎসা নিয়ে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন। বাড়িতে ফিরে স্বাভাবিক জীবনযাপন করছেন কৃষক সুলতান ব্যাপারী (৫২)। আজ শুক্রবার (৫ জুলাই) সকালে হাটে গিয়ে করেছেন বেচাকেনাও। এ ঘটনায় স্বস্তি প্রকাশ করেছেন চিকিৎসক ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা।
গত সোমবার উপজেলার পদ্মাবেষ্টিত চরজানাজাত ইউনিয়নে পাট জাগ দিতে গিয়ে কৃষক সুলতান ব্যাপারী (৫২) ওই সাপের দংশনে আহত হন।
উপজেলা স্বাস্থ্য বিভাগ ও স্থানীয়রা জানান, সম্প্রতি পদ্মার চরাঞ্চলের মাদারীপুরের শিবচরে বেড়েছে রাসেলস ভাইপারসহ বিষধর সাপের উপদ্রব। পদ্মার চরাঞ্চল চরজানাজাত ইউনিয়নের উত্তর চর জানাজাত এলাকার কৃষক সুলতান বেপারি (৫২) গত সোমবার দুপুরে নদীতে পাট জাগ দিতে যান। পাট জাগ দেওয়ার সময় সুলতান বেপারীকে বিষধর সাপ রাসেলস ভাইপার দংশন করে। সঙ্গে সঙ্গে অন্য কৃষকরা সুলতান বেপারীর হাতে বাধন দিয়ে শিবচর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসেন। স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ডাক্তাররা পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে নিশ্চিত হন সুলতান বেপারীকে রাসেলস ভাইবার সাপ দংশন করেছে।
পরে ডাক্তাররা সুলতান ব্যাপারীকে অ্যান্টিভেনম দেন। প্রায় আড়াই ঘণ্টা পর কিছুটা সুস্থ হয় সুলতান। এরপরও চিকিৎসকরা তাকে তিন দিন পর্যবেক্ষণে রাখেন। বৃহস্পতিবার বিকেলে হাসপাতাল থেকে ছাড়া পান সুলতান। এরপর তিনি বাড়ি ফিরে যান।
কৃষক সুলতান বেপারী বলেন, ‘আমি এখন সুস্থ আছি। হাসপাতালে কয়েকদিন ছিলাম। এখন বাড়িতে এসে সব কাজ কর্ম করছি। তবে মাঝে মাঝে মাথা একটু ঘোরে। আমাদের মাঠে রাসেলস ভাইপার সাপ অনেক। মাঠে কাজ করতে ভয় লাগে।’
শিবচর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মেডিকেল অফিসার ডা. মো. ইব্রাহিম হোসেন বলেন, ‘আমরা মেডিকেল টিম গঠন করে সিদ্ধান্ত নিয়ে সুলতানকে অ্যান্টিভেনম দেই। এরপরে আস্তে আস্তে সে সুস্থ হয়। এখন পুরোপুরি সুস্থ। আশা করছি আর কোনো সমস্যা হবে না।’