চার সাংবাদিকের বিরুদ্ধে মামলার নিন্দা ও প্রতিবাদ বিএফইউজে-ডিইউজের
সংবাদ প্রকাশের জেরে পটুয়াখালীর বাউফলের চার সাংবাদিকের বিরুদ্ধে বরিশালের সাইবার ট্রাইব্যুনালে মামলা করার ঘটনায় তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়ন (বিএফইউজে) ও ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের (ডিইউজের) একাংশের।
গতকাল শুক্রবার (৫ জুলাই) পাঠানো বিবৃতিতে স্বাক্ষর করেন বিএফইউজের একাংশের সভাপতি রুহুল আমিন গাজী ও মহাসচিব কাদের গনি চৌধুরী এবং ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের একাংশের সভাপতি শহিদুল ইসলাম ও সাধারণ সম্পাদক খুরশীদ আলম।
বিবৃতিতে সাংবাদিক নেতারা বলেন, ‘সরকার দলীয় নেতাকর্মীর দ্বারা সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে হামলা-মামলার ঘটনা নতুন কিছু নয়। যখনই সাংবাদিকরা সত্য কথা লেখে, সমাজের অনিয়ম তুলে ধরে তখনই তারা ক্ষমতাসীনদের হামলা-মামলার স্বীকার হন। পটুয়াখালীর বাউফলে যুবলীগ নেতা কর্তৃক চার সাংবাদিকের বিরুদ্ধে করা মামলা এর ব্যতিক্রম নয়।’
নেতারা বলেন, ‘আমরা স্পষ্টভাবে বলতে চাই, এসব মিথ্যা মামলা দিয়ে সাংবাদিকদের ভয় দেখানো যাবে না। সাংবাদিকরা ঐক্যবদ্ধভাবে এই অপশক্তিকে মোকাবিলা করবে। একইসঙ্গে আমরা এই ন্যক্কারজনক এ মিথ্যা মামলার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি।’ অবিলম্বে এই মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারের দাবি জানান তারা।
গত ৩ জুলাই সংবাদ প্রকাশের জেরে পটুয়াখালীর বাউফলের চার সাংবাদিকের বিরুদ্ধে বরিশালের সাইবার ট্রাইব্যুনাল আদালতে মামলা করেন বাউফল পৌর যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মো. আরিফুজ্জামান ওরফে রিয়াদ খান (৪৩)।
মামলায় আসামিরা হলেন–দৈনিক কালবেলার বাউফল প্রতিনিধি জি এম মশিউর রহমান, বাউফল প্রতিদিন ডটকমের সম্পাদক মো. এনামুল হক, সময় টিভির স্টাফ রিপোর্টার মো. মনির হোসেন ও দৈনিক ভোরের আকাশের বাউফল প্রতিনিধি মো. ফিরোজ। আদালত বাউফল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শোণিত কুমার গায়েনকে মামলা তদন্ত করার দায়িত্ব দিয়েছেন।
এর আগে পরকীয়ার জেরে এক গৃহবধূকে নিয়ে পালানোর অভিযোগে মো. আরিফুজ্জামানের বিরুদ্ধে পটুয়াখালী আদালতে মামলা হয়। ২৬ জুন ওই গৃহবধূর স্বামী বাদী হয়ে মামলাটি করেন। ওই মামলার সূত্র ধরে সংবাদ প্রকাশ করায় সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে সাইবার নিরাপত্তা আইনে মামলা করেন এই যুবলীগ নেতা।