ভুয়া হাজিরা দিতে এসে যুবক আটক
মিথ্যা পরিচয়ে অন্যের পক্ষে ভুয়া হাজিরা দিতে এসে মো. কামাল হোসেন নামের এক ব্যক্তিকে আটক করেছে পুলিশ। আজ সোমবার (৮ জুলাই) ঢাকার সপ্তম অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ তেহসিন ইফতেখারের আদালতে এ ঘটনা ঘটে।
জানা যায়, ২০১৮ সালের ৫ ফেব্রুয়ারি রূপনগর থানার বর্ধিত পল্লবী নুরানী হাউজিং মেইন গেটের সামনে পাকা রাস্তার ওপর এজাহারনামীয় আসামিদের বিরুদ্ধে পরস্পর যোগসাজসে অন্তর্ঘাতমূলক কর্মকাণ্ড, অরাজকতা সৃষ্টি, নাশকতামূলক কাজ এবং সহায়তা করার অপরাধে রূপনগর থানায় বিশেষ ক্ষমতা আইনে মামলা হয়। যা বর্তমানে ঢাকার ৭ম অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ আদালত ও ১৫ নং বিশেষ ট্রাইবুন্যালে বিচারাধীন রয়েছে।
মামলাটি এদিন সাক্ষীর জন্য দিন ধার্য ছিল। সকাল অনুমান ১১টার দিকে আদালতে মামলাটি শুনানির সময় এক ব্যক্তি নিজেকে ওই মামলার এজাহারনামীয় ও চার্জশিটভুক্ত আসামি আমজাদ হোসেন মোল্লা (৫১), বাবা হাজী সুরত আলী মোল্লা, স্থায়ী সাং : ১/৩, কাঁঠালতলা, গ্রাম : দুয়ারীপাড়া, থানা : রূপনগর, ঢাকা বলে পরিচয় দেন। ওই ব্যক্তির আচরণ সন্দেহজনক হওয়ায় এবং হাজিরার দরখাস্তে ইতোপূর্বে উক্ত আসামি প্রদত্ত দস্তখতের সাথে অদ্য প্রদত্ত দস্তখতের গড়মিল পরিলক্ষিত হওয়ায় উক্ত ব্যক্তির সঠিক পরিচয় নিশ্চিত করার জন্যে আসামি আমজাদ হোসেন মোল্লার পক্ষে নিয়োজিত বিজ্ঞ কৌঁসুলি মো. সারোয়ার হোসাইনকে উই ব্যক্তির জাতীয় পরিচয়পত্র আদালতে দাখিলের নির্দেশ প্রদান করা হয়। কিন্তু তিনি আদালতের কার্যঘণ্টার মধ্যে উই নির্দেশ প্রতিপালন করেননি। পরবর্তীতে আদালতে উপস্থিত পুলিশ জিজ্ঞাসাবাদ করলে উই ব্যক্তি নিজের নাম মো. কামাল, বাবা মৃত মহিদুল ফকির, মা মৃত সুলেখা খাতুন, গ্রাম : জাওয়ার, থানা : নড়াইল, জেলা: কিশোরগঞ্জ, বর্তমানের দুয়ারীপাড়া, (আমজাদ হোসেন মোল্লার বাড়ির কেয়ারটেকার) থানা : রূপনগর, ডিএমপি ঢাকা মর্মে জানান।
আসামি আমজাদ হোসেন মোল্লা ও তার নিয়োজিত বিজ্ঞ আইনজীবী পরস্পর যোগসাজশে মো. কামাল এই মামলার এজাহারনামীয় আসামি আমজাদ হোসেন মোল্লা নন জানা সত্ত্বেও মামলার বিচার কার্যক্রম ক্ষতিগ্রস্ত করার উদ্দেশে অসাধুভাবে উই ব্যক্তিকে মিথ্যা পরিচয় দান করে আদালতের সাথে প্রতারণা করেছে। এ অভিযোগে ৭ম অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ আদালত ও ১৫ নং বিশেষ ট্রাইব্যুনাল ঢাকা এর বেঞ্চ সহকারী মোহাম্মদ আলী কোতোয়ালি থানায় মামলা করেন।