কনস্টেবল নিয়োগে ঘুষ : সাবেক পুলিশ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে চার্জশিট
মাদারীপুরের সাবেক পুলিশ সুপার (এসপি) সুব্রত কুমার হালদারসহ পাঁচজনের বিরুদ্ধে কনস্টেবল নিয়োগে ঘুষ নেওয়ার অভিযোগে আদালতে চার্জশিট দাখিল করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। দুদকের উপপরিচালক মো. হাফিজুল ইসলাম এই চার্জশিট দাখিল করেন। আজ বৃহস্পতিবার (১১ জুলাই) চার্জশিট গ্রহণ করেন জেলা দায়রা জজ আদালতের সেশন সহকারী।
দুদকের উপপরিচালক মো.আকতারুজ্জামান জানান, ২০২৩ সালের ৫ জুলাই সাবেক এসপি সুব্রত কুমার হালদারসহ ছয়জনের বিরুদ্ধে মামলা করেছিল দুদক। মামলার এজাহারে তাঁদের বিরুদ্ধে কনস্টেবল নিয়োগে এক কোটি ৬৯ লাখ ১০ হাজার টাকা ঘুষ নেওয়ার অভিযোগ আনা হয়।
অভিযুক্তরা হলেন সাবেক এসপি সুব্রত কুমার হালদার (বর্তমানে পলাতক), কনস্টেবল (সাময়িক বরখাস্ত ও পলাতক) মো. নুরুজ্জামান সুমন, কনস্টেবল (সাময়িক বরখাস্ত) জাহিদুল ইসলাম, মাদারীপুর জেলা পুলিশ হাসপাতালের সাবেক মেডিক্যাল অ্যাসিস্ট্যান্ট পিয়াস বালা এবং সাবেক টিএসআই (টাউন সাব-ইন্সপেক্টর) গোলাম রহমান।
২০১৯ সালে মাদারীপুর জেলা থেকে পুলিশ ট্রেইনি রিক্রুট কনস্টেবল (টিআরসি) পদে লোকবল নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রদান করা হয়। নিয়োগ পরীক্ষায় প্রশ্ন প্রণয়ন ও উত্তরপত্র মূল্যায়ন করেন জেলার তৎকালীন পুলিশ সুপার সুব্রত কুমার হালদার। যাদের কাছ থেকে ঘুষ গ্রহণ করা হয়েছে তাদের পরীক্ষার খাতায় বিশেষ সাংকেতিক চিহ্ন ব্যবহার করা হয়। সেই সব খাতায় অতিরিক্ত নম্বর দেন তিনি।
এই নিয়োগ চলাকালে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অবৈধ ঘুষ লেনদেনের ৭৩ লাখ ৫০ হাজার টাকা ছয়টি ধাপে জব্দ করা হয়। বিষয়টি পুলিশ সদর দপ্তর প্রাথমিকভাবে তদন্ত করে সত্যতা থাকায় আদালতের মাধ্যমে সেটা দুদকে পাঠায়। দুদকের অনুসন্ধান এবং তদন্তে বিষয়টির সত্যতা পাওয়া যায়। পরবর্তী সময়ে দুদক এক কোটি ৬৯ লাখ টাকা ঘুষ গ্রহণের তথ্য-প্রমাণ পায়। দুদকের এই মামলায় পুলিশের বিভিন্ন স্তরের কর্মকর্তা, একটি বেসরকারি ব্যাংকের ম্যানেজারসহ ৫০ জনকে সাক্ষী করা হয়।
দুদক সমন্বিত জেলা কার্যালয়ের উপপরিচালক আকতারুজ্জামান বলেন, দীর্ঘ তদন্তের পর সাবেক এসপিসহ পাঁচজনের বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশিট দাখিল করা হয়েছে।