আসামি ধরতে নদীতে ঝাঁপ দিয়ে এসআইয়ের মৃত্যু
সিরাজগঞ্জের রায়গঞ্জে আসামিকে ধরতে নদীতে ঝাঁপ দিয়ে উপপরিদর্শক (এসআই) রেজাউল ইসলাম পানিতে ডুবে মারা গেছেন। খবর পেয়ে উল্লাপাড়া ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা ঘটনাস্থলে পৌঁছে তাঁর মরদেহ উদ্ধার করে।
আজ সোমবার (১৫ জুলাই) সকাল ১০টার দিকে সলঙ্গা থানার হাটিকুমরুল ইউনিয়নের রাধানগর গ্রামে সরস্বতী নদীতে এই ঘটনা ঘটে।
ময়নাতদন্তের জন্য রেজাউল ইসলামের মরদেহ শহীদ এম. মনসুর আলী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে রাখা হয়েছে।
নিহত রেজাউল ইসলাম নওগাঁ জেলার পত্নীতলা গ্রামের তোজাম্মেল হক শাহের ছেলে। তিনি রায়গঞ্জ থানায় উপপরিদর্শক (এসআই) হিসেবে কর্মরত ছিলেন।
পুলিশ জানায়, রায়গঞ্জ উপজেলার নলকা ইউনিয়নের এরানদহ গ্রামে হত্যা মামলার আসামি নাজমুল হাসানকে গ্রেপ্তার করতে অভিযান চালায় পুলিশ। এ সময় পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে আসামি নাজমুল হাসান দৌড়ে পালানোর চেষ্টা করেন। পুলিশও তার পিছে পিছে দৌড় দেয়। একপর্যায়ে আসামি নাজমুল পাশের সরস্বতী নদীতে ঝাঁপ দিলে এসআই রেজাউল ইসলামও তাঁর সঙ্গে নদীতে ঝাঁপ দেন। তারা দুজনের সাঁতরিয়ে নদী পার হওয়ার চেষ্টা করছিলেন। এরই একপর্যায়ে এসআই রেজাউল ডুবে যান। পরে স্থানীয়রা তাঁকে উদ্ধারের চেষ্টা করে। খবর পেয়ে উল্লপাড়া ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা ঘটনাস্থলে পৌঁছে নদী থেকে তাঁর মরদেহ উদ্ধার করে।
আসামি নাজমুল হাসান সাঁতরিয়ে নদী পার হয়েছে কি না বা সেও নদীতে ডুবেছে কি না তা নিশ্চিত হতে রাজশাহী থেকে ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরিদল খবর দেওয়া হয়েছে।
উল্লাপাড়া ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের ইনচার্জ নুর ইসলাম বাবু বলেন, ‘নদীতে ডুবে পুলিশ সদস্য নিখোঁজ হয়েছে এমন সংবাদ পেয়ে আমরা ঘটনাস্থলে যাই। সেখানে অভিযান চালিয়ে এসআই রেজাউলকে উদ্ধার করে শহীদ এম. মনসুর আলী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাই। হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষনা করেন।’
নুর ইসলাম বাবু আরও বলেন, আসামি নাজমুল হাসান সাঁতরিয়ে নদী পার হয়ে পালিয়ে গেছে কি না তা কেউ বলতে পারেনি। যে কারণে সেও নদীতে ডুবেছে কি না বা পালিয়ে গেছে কি না তা নিশ্চিত হতে রাজশাহীতে ডুবুরী দলকে খবর দেওয়া হয়েছে। তারা এসে উদ্ধারকাজ শুরু করবে।’
শহীদ এম. মনসুর আলী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগে কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা. গোলাম আম্বিয়া বলেন, বেলা সাড়ে ১২টার দিকে এসআই রেজাউলকে হাসপাতালে নিয়ে আসেন ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা। কিন্তু হাসপাতালে পৌঁছার আগেই তাঁর মৃত্যু হয়।
পুলিশ সুপার আরিফুর রহমান মণ্ডল বলেন, ‘হত্যা ও ডাকাতি মামলার আসামি নদীতে ঝাঁপ দিলে এসআই রেজাউল তাকে ধরতে নদীতে ঝাঁপ দেন। এ সময় হার্ট অ্যাটাক করে তাঁর মৃত্যু হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।’