নাশকতার মামলায় পাঁচ দিনে কারাগারে ১২৫৮
কোটা সংস্কার আন্দোলনকে ঘিরে সহিংসতার মামলায় গত পাঁচ দিনে এক হাজার ২৫৮ জন আসামিকে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত। আজ বুধবার (২৪ জুলাই) ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্টেট আদালত ও চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিভিন্ন সাধারণ নিবন্ধন শাখা থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
জানা গেছে, গত ২২ জুলাই ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালত ঢাকা জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক নিপুর রায় চৌধুরীসহ আরও ৪৭৪ জনকে কারাগারে পাঠিয়েছেন। তার আগে গত ২২ জুলাই ৩৯৪ জন, ২১ জুলাই ১৮৮ জন, ২০ জুলাই ১৪২ জন ও ১৯ জুলাই ৬০ আসামিকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। এ ছাড়া ২৭ আসামির তিন দিন করে রিমান্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত।
কারাগাারে পাঠানো আসামিদের মধ্যে বিএনপি-জামায়াত ও অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরা রয়েছেন। এর মধ্যে রাজধানীর মিরপুর মডেল থানার ৩৭ জন, বাড্ডা থানার ৫০ জন, ভাটারা থানার ১৮ জন, মোহাম্মদপুর থানার আটজন, আদাবর থানার চারজন, তেজগাঁও থানার ১১ জন, তেজগাঁও শিল্পাঞ্চল থানার ছয়জন, হাতিরঝিল থানার ১৩ জন, রমনা মডেল থানার একজন, তুরাগ থানার সাতজন, উত্তরা পূর্ব থানার ২৪ জন, উত্তরা পশ্চিম থানার ছয়জন, পল্টন মডেল থানার চারজন, মতিঝিল থানার সাতজন, শাহাজাহানপুর থানার ছয়জন, রামপুরা থানার ১৮ জন, সবুজবাগ থানার একজন, কলাবাগান থানার তিনজন, নিউমার্কেট থানার আটজন, সূত্রাপুর থানার পাঁচজন, ওয়ারী থানার ৪১ জন, ক্যান্টনমেন্ট থানার দুজন, রূপনগর থানার ১২ জন, পল্লবী থানার ১৮ জন, কাফরুল থানার ছয়জন, কদমতলী থানার ৪৪ জন, ধানমণ্ডি থানার সাতজন, মুগদা থানার ছয়জন, যাত্রাবাড়ী থানার ২৬ জন, ডেমরা থানার মামলায় ১৮ জন, বনানী থানার ৩৮ জন, গুলশান থানার চারজন, বিমানবন্দর থানার দুজন, কোতোয়ালি থানার পাঁচজন, বংশাল থানার চারজন, লালবাগ থানার চারজন রয়েছেন।
এদিকে, আসামিদের মধ্যে শেরেবাংলা নগর থানার মামলায় ছয়জন, শাহবাগ থানার পাঁচজন, ধানমণ্ডি থানার চারজন, মিরপুর মডেল থানার একজন এবং চকবাজার থানার একজনের তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।
গ্রেপ্তার আসামিদের মধ্যে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, নজরুল ইসলাম, যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবীর রিজভী, আমান উল্লাহ আমান, জামায়াতের সেক্রেটারি গোলাম পারওয়ার, গণ-অধিকার পরিষদের নুরুল হক নূর রয়েছেন।