আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের গুলি না চালাতে ও ছয় সমন্বয়ককে মুক্তি চেয়ে হাইকোর্টে রিট
আন্দোলনের সময় শিক্ষার্থীদের ওপর গুলি না করতে নির্দেশনা চেয়ে হাইকোর্টে রিট আবেদন করা হয়েছে। আবেদনে সম্প্রতি কোটা আন্দোলন ঘিরে আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের যেসব স্বজনকে আটক বা গ্রেপ্তার করা হয়েছে তাদের মুক্তির নির্দেশনা চেয়েও আর্জি জানানো হয়েছে। একই সঙ্গে ঢাকা মহানগর পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগের (ডিবি) হেফাজতে থাকা বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ছয় সমন্বয়ক ছেড়ে দিতেও রিটে বলা হয়।
আজ সোমবার (২৯ জুলাই) সকালে হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় এ আবেদন করেন ব্যারিস্টার অনিক আর হক। বিচারপতি মোহাম্মদ খুরশীদ আলম সরকার ও বিচারপতি মো. মনিরুজ্জামানের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চে আজ দুপুরেই আবেদনটি শুনানির জন্য উপস্থাপন করা হতে পারে।
তবে হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট বেঞ্চ শুনানি করতে না চাইলে অন্য একটি বেঞ্চে এ আবেদনের ওপর শুনানি করা হবে বলে জানা গেছে।
সম্প্রতি সরকারি চাকরিতে কোটা সংস্কারের দাবিতে শিক্ষার্থীদের আন্দোলন ঘিরে ঢাকাসহ সারাদেশে ব্যাপক সহিংস পরিস্থিতি তৈরি হয়। বিভিন্ন স্থানে সংঘর্ষে শিক্ষার্থীসহ অনেকে গুলিবিদ্ধ হন। আন্দোলন ঘিরে সংঘাত-সংঘর্ষে এখন পর্যন্ত ১৪৭ জনের প্রাণহানির তথ্য পেয়েছে সরকার। রোববার সচিবালয়ে এক ব্রিফিংয়ে নিহতের সংখ্যা নিয়ে এ তথ্য জানান স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান।
কোটা সংস্কারের দাবিতে গত ১ জুলাই শিক্ষার্থীদের লাগাতার আন্দোলন শুরু হয়। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীদের ১৫ জুলাইয়ের আন্দোলন ঘিরে সংঘর্ষের পর ঢাকাসহ সারাদেশে বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে। এরপর আন্দোলন চলাকালে ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন এলাকায় হামলা, সংঘর্ষ, সহিংসতা, ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ ও হতাহতের ঘটনা ঘটে।
এদিকে, ঢাকা মহানগর পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগের (ডিবি) হেফাজতে থাকা বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ছয়জন সমন্বয়ক রোববার (২৮ জুলাই) রাতে এক ভিডিও বার্তায় সব কর্মসূচি প্রত্যাহারের ঘোষণা দিয়েছেন। ডিবি কার্যালয়ে ধারণ করা এ ভিডিও বার্তা রাতেই গণমাধ্যমে পাঠানো হয়। তবে ভিডিও বার্তায় ছয় সমন্বয়ক কর্মসূচি প্রত্যাহারের ঘোষণা দিলেও তাতে ভিন্নমত জানিয়ে গণমাধ্যমে পৃথক বিবৃতি দেন একাধিক সমন্বয়ক।