সাংবাদিক সাঈদ খানসহ পাঁচজন কারাগারে
সাংবাদিক হাফিজ আল আসাদ ওরফে সাঈদ খানসহ পাঁচজনের বিরুদ্ধে রাজধানীর কাফরুল থানার নাশকতার মামলায় কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। আজ মঙ্গলবার (২৬ জুলাই) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আতাউল্লাহ এই আদেশ দেন। সাঈদ ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের (ডিইউজে) একাংশের সাংগঠনিক সম্পাদক ও দ্য মিরর এশিয়ার ঢাকা প্রতিনিধি।
গত শুক্রবার ( ২৬ জুলাই) আসামিদের পাঁচ দিন করে রিমান্ডের আদেশ দেন। সেই রিমান্ড শেষ হলে আজ আদালতে হাজির করা হয়। অন্য আসামিরা হলেন—সানাউল হক নিরু, আলমগীর, মহিউদ্দিন আহমেদ ভূঁইয়া ওরফে নাইম, আব্দুল আজিজ সুলতান ও মাইন।
নথি থেকে জানা গেছে, গত ১৯ জুলাই বিকাল সাড়ে ৪টা থেকে সন্ধ্যা সাড়ে ৭টা পর্যন্ত কাফরুল থানাধীন কাজীপাড়া মেট্রোরেল স্টেশনে পাঁচ থেকে ছয় হাজার লোক কোটা সংস্কার আন্দোলন করে। তারা দলবদ্ধ হয়ে লাঠিসোটা, লোহার রড, হকিস্টিক ও দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র যেমন—রামদা, দা, কুড়াল, শাবল, কাটার, হাতুড়ি ইত্যাদি নিয়ে অন্তর্ঘাতমূলক কর্মকাণ্ড ও নাশকতা সংঘঠিত করার লক্ষ্যে ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেডের আওতায় বাস্তবায়নাধীন ও পরিচালনাধীন এমআরটি লাইন-৬-এর কাজীপাড়া মেট্রোরেল স্টেশনের প্রবেশ বা বহির্গমন গেট ভেঙে অনধিকার প্রবেশ করে। পরে কেপিআই ভুক্ত সরকারি স্থাপনা কাজীপাড়া মেট্রোরেল স্টেশনের কনকোর্সে ব্যাপক ধ্বংসাত্মক কার্যক্রম চালায় এবং মূল্যবান যন্ত্রপাতি ও সরঞ্জামাদি লুটপাট করে নিয়ে যায়।
আরও জানা গেছে,আসামিরা অগ্নিসংযোগ ও ব্যাপক ভাঙচুর করে ক্ষতি সাধন করে। ব্যাপক ধ্বংসাত্মক কার্যক্রমের ফলে এই মেট্রোরেল স্টেশনের আর্থিক ক্ষতির পরিমাণ প্রাথমিক অনুযায়ী আনুমানিক ১০০ কোটি টাকা। তার মধ্যে কাফরুল থানার আওতাধীন অংশের আনুমানিক ৫০ কোটি টাকা আর্থিক ক্ষতি সাধন ও বিভিন্ন মালামাল লুটপাট করে নিয়ে যায়। গ্রেপ্তার আসামিরা বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের হয়ে সরকার উৎখাতের জন্য পরিকল্পিতভাবে ধ্বংসাত্মক কার্যক্রম করে সরকারি গুরুত্বপূর্ণ কেপিআই মেট্রোরেল স্টেশনের ব্যাপক ক্ষতি সাধন করেছে এবং বিভিন্ন প্রযুক্তি বিষয়ক মালামাল লুটপাট করে নিয়ে যায়।