সন্ধ্যা ৬টা থেকে অনির্দিষ্টকালের জন্য কারফিউ
রাজধানীসহ দেশের সব বিভাগীয় সদর, সিটি করপোরেশন, পৌরসভা, শিল্পাঞ্চল, জেলা সদর ও উপজেলা সদরে সান্ধ্য আইন (কারফিউ) জারি করেছে সরকার। আজ সন্ধ্যা ৬টা থেকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত এ কারফিউ বলবত থাকবে।
আজ রোববার (৪ আগস্ট) স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ কথা জানানো হয়েছে।
এর আগে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান জানিয়েছিলেন, আজ সকাল ৬টা থেকে পরবর্তী ঘোষণা না দেওয়া পর্যন্ত ঢাকা, গাজীপুর, নরসিংদী ও নারায়ণগঞ্জ জেলায় সকাল ৬টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত ১৫ ঘণ্টা কারফিউ শিথিল থাকবে। রাত ৯টা থেকে ভোর ৬টা পর্যন্ত বলবৎ থাকবে কারফিউ।
এরই মধ্যে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ সরকারের পদত্যাগ দাবিতে আজ থেকে সর্বাত্মক অসহযোগ আন্দোলনের ডাক দিয়েছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন। এ কর্মসূচি ঘিরে দুপুর পর্যন্ত দেশের বিভিন্ন স্থানে সহিংসতায় কমপক্ষে ১৭ জন নিহতের খবর পাওয়া গেছে। এ পরিপ্রেক্ষিতে আজ সন্ধ্যা থেকে সার্বক্ষণিক কারফিউ জারি করা হলো।
কোটা সংস্কার আন্দোলন ঘিরে গত ১৬ জুলাই থেকে সহিংসতা-সংঘাত, হামলা-পাল্টাহামলার ঘটনা ঘটে। বেসরকারি হিসাব অনুযায়ী, গত ২১ জুলাই পর্যন্ত এতে দুই শতাধিক মানুষ নিহত হয়। সহিংসতার মধ্যে গত ১৯ জুলাই রাতে সারাদেশে কারফিউ জারি করে সেনা মোতায়েনের সিদ্ধান্ত নেয় সরকার। সহিংসতা দমনে সরকার অভিযান চালালে গত ২২ জুলাই থেকে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়ে আসে। ক্রমে বাড়ে কারফিউ শিথিলের সময়। গত বুধবার থেকে গতকাল শনিবার পর্যন্ত প্রতিদিন সকাল ৭টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত অর্থাৎ ১৩ ঘণ্টা কারফিউ শিথিল ছিল। রোববার থেকে সকাল ৬টা থেকে রাত ৯টা থেকে ১৫ ঘণ্টা শিথিল করা হয়।
কিন্তু এরমধ্যে শিক্ষার্থীরা পুলিশের গুলিতে নিহতদের বিচারসহ ৯ দফা দাবিতে ফের আন্দোলন শুরু করে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা শিক্ষার্থীদের আলোচনায় বসার আহ্বান জানান। কিন্তু শিক্ষার্থীরা সেই আহ্বান প্রত্যাখ্যান করে শনিবার প্রধানমন্ত্রীর পদত্যাগের এক দফা দাবি ঘোষণা করেন।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন তাদের দাবি আদায়ে আজ রোববার থেকে সর্বাত্মক অসহযোগ আন্দোলনে সারা দেশের পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে উঠে। অসহযোগ কর্মসূচিতে শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত ১৪ জেলায় ৩৬ জন নিহতের খবর পাওয়া গেছে।