শিক্ষার্থীদের ওপর পুলিশের গাড়ি চাপা, গুলিতে শেরপুরে নিহত ৫
শেরপুরে এক দফা দাবিতে মিছিল নিয়ে বের হয় বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের শিক্ষার্থীরা। এসময় শিক্ষার্থীদের মিছিলে পুলিশের গাড়ি চাপায় তিনজন এবং গুলিতে এক ছাত্রীসহ মোট ৫ জন নিহত হয়েছেন। এছাড়াও গাড়িচাপায় গুরুতর আহত হয়েছেন অন্তত ১৫ জন। গতকাল রোববার (৪ আগস্ট) শেরপুর সরকারি কলেজ এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
নিহতরা হলেন আহসান উল্লাহ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী এবং জেলার বাগরাকসা মহল্লার বাসিন্দা তুষার (২৪), আইটি উদ্যোক্তা ও কলেজ শিক্ষার্থী সদর উপজেলার পাকুড়িয়া ইউনিয়নের মাহবুব আলম (২১), ঝিনাইগাতী উপজেলার পাইকুড়া গ্রামের শার্দুল আশিষ সৌরভ (২২)। এই তিনজন পুলিশের গাড়ি চাপায় নিহত হন। এছাড়া গুলিতে নিহত হন জেলা সদেরর বাসিন্দা মিম আক্তার (১৮) ও শ্রীবরদী উপজেলা রূপারপাড় গ্রামের সবুজ হাসান (২০) নামে দুই শিক্ষার্থী।
প্রত্যক্ষদর্শী ও আন্দোলনকারীরা জানায়, বিকেল সাড়ে তিনটার দিকে তাদের মিছিলে আওয়ামী লীগের লোকজন সশস্ত্র হামলা চালায়। এই হামলা প্রতিরোধ করে শেরপুর সরকারি কলেজের যাওয়ার সময় জেলা প্রশাসন ও পুলিশের দুটি গাড়ি দ্রুতবেগে মিছিলের ওপর তুলে দেয়। এ সময় গাড়িচাপায় তিনজনের জনের মৃত্যু হয়।
একই সময় পুলিশ গুলি চালায়। এতে দুজন গুলিবিদ্ধ হয়। তাদের উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে এলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তাদের মৃত্যু হয়।
এ ঘটনায় আন্দোলনকারী ছাত্র-জনতা বিক্ষুব্ধ হয়ে ওঠে। তারা হাসপাতাল থেকে গাড়িচাপায় নিহত তিনজনের লাশ নিয়ে শহরে মিছিল করে। এ সময় পুলিশ সুপারের বাসভবন, থানা, আনসার ভিডিপি কার্যালয়, পুলিশের সুপার শপ, খোয়ারপাড় পুলিশ বক্স, জেলা আওয়ামী লীগের কার্যালয় ভাঙচুর করে ও আগুন দেয়।
এ সময় পুরো শহরের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে নেয় আন্দোলনকারীরা। এছাড়াও পাঁচ শিক্ষার্থীর মৃত্যুতে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে সাধারণ জনগণ।