ফরিদপুরে সাবেক পৌরসভা মেয়রসহ ৬ জনের বিরুদ্ধে মামলা
ফরিদপুর পৌরসভার সদ্য সাবেক মেয়র ও জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক অমিতাভ বোসসহ ছয় আওয়ামী লীগ নেতাকে আসামি করে মামলা হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার (২০ আগস্ট) ফরিদপুরের এক নম্বর আমলি আদালতে দ্রুত বিচার আইনে এ মামলাটি করেন সদর উপজেলা যুবদলের সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক লুৎফর রহমান সরদার।
আদালতের হাকিম জ্যেষ্ঠ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো. মোহাম্মদ নাসিম মাহমুদ মামলাটি আমলে নিয়ে তা নথিভুক্ত করতে ফরিদপুর কোতয়ালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে (ওসি) আদেশ দিয়েছেন।
কোতোয়ালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. হাসানুজ্জামান বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, আদালতের নির্দেশে লুৎফর সরদারের মামলাটি নথিভুক্ত করা হয়েছে।
মামলার অন্য আসামিরা হলেন- সাবেক উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ও সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শামসুল আলম চৌধুরী, সদরের নর্থ চ্যানেল ইউনিয়নের পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি মোফাজ্জেল হোসেন, পৌরসভার ৩ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর ও সদর উপজেলার আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক হানিফ শেখ, ফরিদপুর জেলা পরিষদের সাবেক প্রশাসনিক কর্মকর্তা চুন্নু শেখ ও আওয়ামী যুব লীগের কর্মী দিপংকর দাস।
মামলার অভেযোগে উল্লেখ করা হয়, ভিন্ন দল করার কারণে আসামিরা তার (লুৎফর সরদার) কাছ থেকে ১০ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে। তিনি চাঁদা দিতে অস্বীকার করলে চলতি বছরের ১৫ এপ্রিল সন্ধ্যার দিকে আসামিরা রামদা, ছ্যানদা, বল্লম, সড়কি, লোহার রড নিয়ে ক্ষমতার দাপট দেখিয়ে বাদীকে ভয় দেখায়। এসময় তাদের এক লাখ টাকা দিয়ে প্রাণ ভিক্ষা চাইলেও আসামিরা হামলা চালিয়ে তাকে মারধর করে। এসময় আসামিরা তাকে গাছের সঙ্গে বেঁধে রাখে। ভুক্তভোগীর স্ত্রী বাধা দিলে তাকেও ঘরে আটকে রাখে। পরে আসামিরা ঘরের সব মালামাল ভাঙচুর করে, নগদ টাকা, স্বর্ণালংকারসহ বিভিন্ন মালামাল লুটপাট করে নিয়ে যায়।
মামলার বাদী লুৎফর রহমান জানান, আসামিরা আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত থাকায় তাদের বিরুদ্ধে এতদিন কিছুই বলা যায়নি। বর্তমানে পরিস্থিতি অনুকূলে থাকায় মামলা করা হয়েছে।
ফরিদপুর জেলা জজ কোর্টের আইনজীবী মামুনুর রশিদ বলেন, আদালত মামলাটি আমলে নিয়ে এজাহার হিসেবে গ্রহণ করার জন্য ফরিদপুর কোতয়ালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে (ওসি) নির্দেশ দিয়েছেন।