কুমিল্লায় বন্যা ও বৃষ্টির প্রভাবে ৫ জনের মৃত্যু
টানা বৃষ্টি ও ভারত থেকে নেমে আসা ঢলের পানিতে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে কুমিল্লা জেলা। বৃষ্টি ও বন্যার প্রভাবে দুই দিনে পাঁচজনের মৃত্যু হয়েছে।
গতকাল বুধবার মারা যান চারজন, সোমবার মারা গেছেন একজন। এর মধ্যে দুজন বিদ্যুৎস্পর্শে, একজনের মাথায় গাছ পড়ে, দুজন পানিতে তলিয়ে মারা যান।
জেলার নাঙ্গলকোটে বন্যার পানিতে তলিয়ে কেরামত আলী (৪৫) নামে এক ব্যক্তি মারা যান। গতকাল বুধবার রাতে তাঁর মৃত্যু হয়। তিনি পৌরসভার দাউদপুর এলাকার বাসিন্দা। গতকাল মধ্যরাতে মাছ ধরতে গিয়ে স্থানীয় একটি ব্রিজের নিচে তলিয়ে যান তিনি। প্রবল স্রোতে অদৃশ্য হয়ে গেলে স্থানীয়রা তাঁকে খোঁজাখুঁজি শুরু করে। কিছু সময় পর ঘটনাস্থলের অদূরে তাঁর দেহ ভেসে ওঠে। সবাই তাঁকে উদ্ধার করে হাসপাতালে আনলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
গতকাল বিকেলে বৃষ্টির মধ্যে বৈদ্যুতিক পিলারের সঙ্গে লেগে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে রাফি (১৫) নামে এক কিশোরের মৃত্যু হয়েছে। সে নগরীর ছোটরা এলাকার বাসিন্দা। কুমিল্লা জেনারেল হাসপাতালের চিকিৎসক যোবায়ের হোসেন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
চৌদ্দগ্রামে বন্যার পানিতে মাছ ধরার সময় গাছ পড়ে শাহাদাত হোসেন (৩৪) নামে এক প্রবাসীর মৃত্যু হয়েছে। গতকাল সকালে চৌদ্দগ্রাম পৌরসভার সোনাকাটিয়া (আদর্শ গ্রাম) পূর্বপাড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। তিনি উপজেলার সোনাকাটিয়া গ্রামের কানু মিয়ার ছেলে।
গতকাল বুধবার পানিতে ডুবে লাকসামে একটি শিশু মারা যায়। তার নাম জানা যায়নি।
এর আগে আগে সোহরাব হোসেন সোহাগ নামে এক আইনজীবীর মৃত্যু হয়েছে। সোমবার বিকেলে কুমিল্লা নগরীর সালাউদ্দিন মোড়ে ওই আইনজীবী বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হন। সন্তানসম্ভবা স্ত্রীকে একটি ডায়াগনস্টিক সেন্টারে রেখে বের হলে বৃষ্টির পানিতে পড়ে থাকা বৈদ্যুতিক তারে জড়িয়ে যান তিনি।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কুমিল্লা জেলা সিভিল সার্জন নাছিমা আক্তার। পুরো জেলার ১৭টি উপজেলায় ১৭ মেডিকেল টিম গঠন করা হয়েছে। উপজেলা মেডিকেল টিম থেকে ইউনিয়ন পর্যায়ে মেডিকেল টিম গঠন করা হয়েছে। তারা পর্যাপ্ত ওষুধ ও খাবার সালাইন সরবরাহ করছে।