সালমান এফ রহমান, আনিসুল, দীপু মনি ও জিয়াউল আহসান ফের রিমান্ডে
গণঅভ্যুত্থানের মুখে প্রধনামন্ত্রীত্ব ছেড়ে ভারতে পালিয়ে যাওয়া প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগবিষয়ক উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান, সাবেক আইনমন্ত্রী আনিসুল হক, সাবেক সমাজকল্যাণমন্ত্রী ডা. দীপু মনি ও সাবেক মেজর জেনারেল জিয়াউল আহসানকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আরও পাঁচ দিনের রিমান্ড দিয়েছেন আদালত। আজ শনিবার (২৪ আগস্ট) দুপুরে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা উপপরিদর্শক (এসআই) আক্কাস মিয়া লালবাগ থানার একটি মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে ১০ দিনের রিমান্ড আবেদন করলে আদালত পাঁচ দিনের জন্য রিমান্ডে পাঠান।
এর আগে নিউমার্কেট থানায় করা আইডিয়াল কলেজের ছাত্র খালিদ হাসান সাইফুল্লাহকে হত্যার মামলায় গত ১৩ আগস্ট রাজধানীর সদরঘাট এলাকা থেকে সালমান এফ রহমান ও আনিসুল হককে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। ১৪ আগস্ট সন্ধ্যায় তাদের আদালতে হাজির করে ১০ দিনের রিমান্ড চেয়ে আবেদন করলে আদালত তা মঞ্জুর করেন। সেই রিমান্ড শেষে লালবাগ থানার মামলায় আজ ফের পাঁচ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করলেন আদালত।
কোটা সংস্কার আন্দোলন চলাকালে ১৬ জুলাই ঢাকা কলেজের সামনে সংঘর্ষে দুজন নিহত হন। তাদের একজন ছাত্র, অন্যজন হকার। নিহত ছাত্রের নাম সবুজ আলী (২৬)। তিনি ঢাকা কলেজের চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী ছিলেন। সবুজ আলীর গ্রামের বাড়ি নীলফামারী সদরে। সবুজের মৃত্যুর ঘটনায় তাঁর বড় ভাই নুরুন্নবী বাদী হয়ে ঢাকার নিউমার্কেট থানায় মামলা করেন। মামলায় অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিদের আসামি করা হয়েছিল।
একই দিন নিউমার্কেট এলাকায় শাহজাহান আলী (২৪) নামে এক দোকান কর্মচারী নিহত হন। এ ঘটনায় তাঁর মা আয়শা বেগম বাদী হয়ে মামলা করেন। শাহজাহানের গ্রামের বাড়ি মুন্সীগঞ্জের লৌহজং। শাহজাহান হত্যার ঘটনায় ইন্ধনদাতা হিসেবে সালমান এফ রহমান ও আনিসুল হককে গ্রেপ্তার দেখানো হয়।
১৫ আগস্ট রাতে ঢাকার খিলক্ষেত এলাকা থেকে জিয়াউল আহসানকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরদিন নিউমার্কেট থানায় দায়ের করা দোকান কর্মচারী হত্যা মামলায় (৮ নম্বর মামলা) তার আট দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত। মামলা সূত্রে জানা গেছে, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে ১৮ জুলাই লালবাগের আজিমপুর সরকারি আবাসিক এলাকায় আইডিয়াল কলেজের প্রথম বর্ষের ছাত্র খালিদ হাসান সাইফুল্লাহ গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যান। এ ঘটনায় তার বাবা কামরুল হাসান ১৯ আগস্ট লালবাগ থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।
৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার আন্দোলনের মুখে দেশত্যাগ করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এরপর মূলত মন্ত্রিপরিষদ সদস্য ও আওয়ামী লীগ নেতারা আত্মগোপনে চলে যান।