জনগণ-ব্যবসায়ীরা নির্বাচিত সরকার ও গণতন্ত্র চান : মির্জা ফখরুল
কিছু ব্যক্তির পক্ষে বাংলাদেশকে স্বর্গে রূপান্তর করা অবাস্তব উল্লেখ করে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, জনগণ ও ব্যবসায়ী সমাজ উভয়ই দেশে গণতান্ত্রিক ও নির্বাচিত সরকার চায়। আজ বুধবার (২৮ আগস্ট) গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে মির্জা ফখরুল এ কথা বলেন।
যেকোনো ধরনের ভুল বোঝাবুঝি এড়াতে অন্তর্বর্তী সরকারকে আবারও রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনায় বসার আহ্বান জানান ফখরুল। তিনি বলেন, ‘মানুষ এখানে গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা দেখতে চায়। তারা গণতন্ত্র ও নির্বাচন চায়। নির্বাচন হলে তারা খুশি হয় এবং একটি অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের ফলাফল মেনে নেয়। এসব বিষয় আমাদের মাথায় রাখতে হবে। কেউ যদি জনগণকে জিজ্ঞাসা করেন, তারা জোর দিয়ে বলবেন, এখনই নির্বাচন করা দরকার।’
ফখরুল বলেন, ‘বাংলাদেশের বড় বড় ব্যবসায়ীরা মনে করেন, ব্যবসা-বাণিজ্য, শিল্পোন্নয়ন ও অর্থনীতির সুষ্ঠু পরিচালনার জন্য একটি নির্বাচিত সরকার অপরিহার্য। তারা স্পষ্টভাবে বলছেন, যত তাড়াতাড়ি এটি (নির্বাচিত সরকার) হবে ততই মঙ্গল।’
বিএনপির এই নেতা বলেন, ব্যবসায়ীরা বলছেন নির্বাচিত সরকার না থাকলে তারা সঠিকভাবে আমদানি-রপ্তানিসহ ব্যবসা করতে উৎসাহ পান না। তিনি বলেন, ‘এটাই বাস্তবতা। আপনারা (সাংবাদিকরা) ব্যবসায়ী ও তাদের নেতাদের সঙ্গে কথা বলে তা যাচাই করতে পারেন।’
ফখরুল বলেন, ‘আমি যদি মনে করি যে একজন ব্যক্তি বা কয়েকজন ব্যক্তি স্বর্গ তৈরি করতে পারে, তবে তা ভুল। জনগণই সিদ্ধান্ত নেবে কীভাবে দেশ চলবে।’
তাদের দল রাষ্ট্রীয় সংস্কারের পক্ষে উল্লেখ করে ফখরুল বলেন, বিএনপি এক বছর আগে সংবিধান ও রাষ্ট্র ব্যবস্থার সংস্কার এবং অর্থনৈতিক মুক্তি নিশ্চিত করার লক্ষ্যে ৩১ দফা রূপরেখা দিয়েছে। তিনি বলেন, গণঅভ্যুত্থানের মাধ্যমে প্রতিষ্ঠিত অন্তর্বর্তী সরকারকে তারা যৌক্তিক সময়সীমা এবং পূর্ণ সহযোগিতা করতে চান। যতক্ষণ পর্যন্ত আমরা বিশ্বাস করব, সরকার সঠিক পথে আছে, ততক্ষণ আমরা তা অব্যাহত রাখব।
অন্তর্বর্তী সরকারের যৌক্তিক সময়সীমার ব্যাখ্যা জানতে চাইলে বিএনপির এই নেতা বলেন, এটি আলোচনার বিষয়। আমাদের পারস্পরিক আলোচনার মাধ্যমে তা নির্ধারণ করতে হবে। আমরা কী চাই, তারা কী চায় এবং জনগণ কী চায় তা আমাদের অবশ্যই সমাধান করতে হবে। বর্তমান সরকারকে খুব শিগগিরই রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে সংলাপে বসতে হবে। আমি আগেও এই বিষয়ের ওপর জোর দিয়েছি ও আজ আবারও বলছি। দ্রুত আলোচনা হওয়া উচিত। তা না হলে অনেক ভুল বোঝাবুঝির সৃষ্টি হতে পারে।