মুন্সীগঞ্জে শেখ হাসিনা-কাদেরকে আসামি করে হত্যা মামলা
মুন্সীগঞ্জে নুর মোহাম্মদ ওরফে ডিপজল (২২) নামে এক ব্যক্তিকে গুলি করে হত্যার ঘটনায় ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ হাসিনা, সাবেক মন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের, মুন্সীগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মোহাম্মদ মহিউদ্দিন, সাধারণ সম্পাদক লুৎফর রহমান ও জেলার সাবেক তিনজন সংসদ সদস্যকে আসামি করে হত্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে। এ মামলায় আওয়ামী লীগ-ছাত্রলীগ নেতাসহ ৩১৩ জনের নাম রয়েছে। অজ্ঞাতনামা আসামি করা হয়েছে আরও ২০০ থেকে ৩০০ জনকে।
আজ শুক্রবার (৩০ আগস্ট) সকাল ৯টার দিকে সদর থানায় মামলাটি করছেন নিহত নুর মোহাম্মদ ওরফে ডিপজলের নানি শেফালি বেগম।
সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আমিনুল ইসলাম মামলার তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
মামলার এজাহারে বলা হয়, গত ৪ আগস্ট শহরের সুপারমার্কেটে এলাকায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কর্মসূচিতে জেলা সদরের চরাঞ্চল থেকে জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মোহাম্মদ মহিউদ্দিন, তার পুত্র সাবেক সংসদ সদস্য ফয়সাল বিপ্লব ও তার স্ত্রী মুন্সীগঞ্জ পৌরসভার মেয়র চৌধুরী ফাহরিয়া আফরিনের নির্দেশে শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার জন্য অস্ত্র-ককটেল নিয়ে শহরে প্রবেশ করেন দুই-থেকে তিন হাজার দলীয় নেতাকর্মী ও অনুসারী। আগেরদিনই তারা মোবাইলফোন ও সাক্ষাতে এই নির্দেশ পান।
ওইদিনের হামলার ঘটনায় নিহত তিনজনের নাম-পরিচয় পাওয়া যায়। এ ছাড়া অন্তত ৯৫ জন গুলিবিদ্ধসহ আহত হন দেড় শতাধিক। আন্দোলনে গিয়ে গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহতরা হলেন—রিয়াজুল ফরাজী (৩৮), মো. সজল (৩০) ও ডিপজল (১৯)। নিহতদের মধ্যে রিয়াজুল মৃত কাজী মতিনের ছেলে, সজল আলী আকবরের ছেলে ও ডিপজল সিরাজ সরদারের ছেলে। এরা সবাই শহরের উত্তর ইসলামপুর এলাকার বাসিন্দা।
গত ২০ আগস্ট একই এলাকার রিয়াজুল ফরাজীকে গুলি করে হত্যার অভিযোগে মুন্সীগঞ্জ-৩ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ফয়সাল বিপ্লবকে প্রধান আসামি করে ২০৮ জনের নামোল্লেখসহ ৫০৮ জনের বিরুদ্ধে সদর থানায় মামলা দায়ের করা হয়। ওই মামলার বাদী হন আন্দোলনে নিহত রিয়াজুল ফরাজীর স্ত্রী রুমা বেগম।