আটকের পর ছাড়া পেলেন আনোয়ার হোসেন মঞ্জু
জাতীয় পার্টির (জেপি) চেয়ারম্যান ও সাবেক মন্ত্রী আনোয়ার হোসেন মঞ্জুর বিরুদ্ধে আছে পাঁচটি হত্যা মামলা। আজ সোমবার (২ সেপ্টেম্বর) বিকেলে খবর আসে, গ্রেপ্তার করা হয়েছে তাকে। পরে নেওয়া হয়েছে ডিবি কার্যালয়ে। ডিবির যুগ্ম পুলিশ কমিশনার (উত্তর) মো. রবিউল হোসেন ভূঁইয়া তথ্যটি জানিয়েছিলেন। পরে রাত সোয়া ১০টার দিকে বিভিন্ন সূত্র বলছে, তাকে জিম্মা জামিনে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। যদিও এ বিষয়ে রবিউল হোসেনের সঙ্গে যোগাযোগ সম্ভব হয়নি।
যুগ্ম কমিশনার (ডিবি-উত্তর) রবিউল হোসেন ভূঁইয়া বিকেলে জানিয়েছিলেন, মঞ্জুকে আজ ধানমণ্ডি থেকে আটক করা হয়। এরপর বিভিন্ন সূত্র জানিয়েছে গুরুতর অসুস্থ হওয়ায় তাকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। পরে ইত্তেফাকের একাধিক সূত্র এনটিভি অনলাইনকে তথ্য নিশ্চিত করেন। সূত্র জানায়, আনোয়ার হোসেন মঞ্জুকে বিকেলে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ডিবি পুলিশ নিয়ে যায়। কিছু বিষয় জিজ্ঞেসাবাদ শেষে অসুস্থতা বিবেচনায় ইত্তেফাকের নির্বাহী সম্পাদক সালাউদ্দিনের জিম্মায় রাত সাড়ে ৯টা মুক্তি দেওয়া হয়েছে।
আনোয়ার হোসেন মঞ্জু একজন বাংলাদেশি রাজনীতিবিদ, ব্যবসায়ী ও সাংবাদিক, যিনি পিরোজপুর-২ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য এবং সাবেক পানিসম্পদমন্ত্রী। এর আগেও তিনি দুইবার দুই মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী (যোগাযোগ মন্ত্রী ও বিদ্যুৎ জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগের মন্ত্রী) ছিলেন। তিনি পিরোজপুর-২ আসন থেকে ছয়বারের (১৯৮৬,১৯৮৮, ১৯৯১, ১৯৯৬, ২০০১, ২০১৪) নির্বাচিত সংসদ সদস্য। তিনি জাতীয় পার্টির একটি অংশের নেতা, যা জেপি নামে পরিচিত। তার বাবা তোফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়া বরেণ্য রাজনীতিবিদ এবং দৈনিক ইত্তেফাকের প্রতিষ্ঠাতা ছিলেন। আনোয়ার হোসেন মঞ্জু ১৯৭২-১৯৭৫ সাল পর্যন্ত দৈনিক ইত্তেফাকের সম্পাদক ছিলেন। তিনি ১৯৭৮ সালের ১ সেপ্টেম্বরে গঠিত ৭৬ সদস্যবিশিষ্ট বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য ছিলেন। তিনি ১৯৯৬-২০০১ সময়ে আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন সরকারকে সমর্থন করেন। সেই সময় তিনি বাংলাদেশ সরকারের যোগাযোগ মন্ত্রী ছিলেন।