কুলাউড়া সীমান্তে কিশোরীকে গুলি করে মরদেহ নিয়ে গেছে বিএসএফ, আহত ২
মৌলভীবাজারের কুলাউড়ায় লালারচক সীমান্তে স্বর্ণা দাস নামের এক বাংলাদেশি কিশোরীকে গুলি করে মরদেহ নিয়ে গেছে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ)। এ ঘটনায় আরও দুজন আহত হয়েছে। গতকাল সোমবার (২ সেপ্টেম্বর) রাত ৯টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।
নিহত স্বর্ণা জেলার জুড়ী উপজেলার পশ্চিম জুড়ী ইউনিয়নের কালনীগড় গ্রামের পরেন্দ্র দাসের মেয়ে। সে অষ্টম শ্রেণিতে অধ্যয়নরত ছিল।
স্বর্ণার বাবা পরেশ চন্দ্র দাস জানান, ভারতের ত্রিপুরায় তার বড় ছেলে থাকেন। তাকে দেখতে স্বর্ণা ও তার মা রোববার রাতে দালালের সহযোগিতায় লালারচক সীমান্ত দিয়ে ভারতে যাওয়ার চেষ্টা করেন। রাত ৯টার দিকে ভারতের কাঁটাতারের বেড়ার কাছে পৌঁছায়। এ সময় বিএসএফ তাদের লক্ষ্য করে এলোপাতাড়ি গুলি চালায়। ঘটনাস্থলে স্বর্ণা মারা যায়। ভাগ্যক্রমে স্বর্ণার মা বেঁচে যান। বিষয়টি জানাজানি হয় আজ মঙ্গলবার সকালে।
আরও পড়ুন : ফেলানী হত্যার ১০ বছর আজ, এখনো বিচার পায়নি পরিবার
ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে শরিফপুর ইউপি চেয়ারম্যান খলিলুর রহমান জানান, মোট চারজন বাংলাদেশি দালালের মাধ্যমে সীমান্তের কাঁটাতারের পাশে গেলে বিএসএফ গুলি করে। এ ঘটনায় আহতদের সিলেট ওসমানি মেডিকেল কলেজে হাসপাতালে পাঠানো হয়। তাদের বাড়ি চট্টগামে। নিহতের মরদেহ এখনও ফেরত পাওয়া যায়নি। তবে সীমান্তে বিজিবি ও বিএসএফ বৈঠক চলছে।
এ বিষয়ে ৪৬ বিজিবি কমান্ডিং অফিসার লে. কর্নেল মিজানুর রহমানের সঙ্গে মুঠোফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করলে ফোন রিসিভ করেননি তিনি।