বেড়েছে পদ্মার পানি, কুষ্টিয়ায় ৩৬ গ্রাম প্লাবিত
কুষ্টিয়ায় পদ্মায় গত কয়েকদিনে আবারও নতুন করে বাড়ছে পানি। এতে জেলার দৌলতপুর উপজেলার চিলমারী ও রামকৃষ্ণপুর ইউনিয়নে নদীর আশপাশের নিন্মাঞ্চলের ৩৬টি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। পানিবন্দী হয়েছে কয়েক হাজার মানুষ। ফসলি জমি ও সড়ক পানিতে তলিয়ে যাওয়ায় ভাঙন আতঙ্কে আছে চরবাসী।
দেখা গেছে, বৃদ্ধ, শিশু ও গবাদী পশু নিয়ে চরম মানবেতর জীবন কাটছে চরাঞ্চরের মানুষেরা। চারপাশে পানি ওঠায় ইতিমধ্যে চিলমারী ইউনিয়নের চারটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ক্লাস বন্ধ করা হয়েছে।
চিলমারী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আবদুল মান্নান বলেন, ইউনিয়নের ২০ গ্রামেই ফসলি জমি ও সড়ক পানিতে তলিয়ে গেছে। ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে ফসলের। কয়েকটি গ্রামের বেশকিছু বাড়ির ভেতরেও পানি ঢুকেছে।
রামকৃষ্ণপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মো. সিরাজ মণ্ডল জানান, এই ইউনিয়নের চরাঞ্চাললের ১৬টি গ্রামের চারপাশে পানি। তারা সবাই পানিবন্দী হয়ে পড়েছে। চরের নিচু এলাকায় বসবাসরত শতাধিক বাড়িতে পানি ঢুকেছে। পদ্মার চরের প্রায় সব আবাদি জমি তলিয়ে গেছে। এতে মাসকলাই চাষিরা সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত।
দৌলতপুর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা নুরুল ইসলাম বলেন, পদ্মায় পানি বাড়ায় চরের জমিতে কোনো সবুজ অংশ নেই। সব ফসল পানির নিচে। এক হাজার ৪৫ হেক্টর জমির মাসকলাই ডুবে গেছে। এবার চরে দুই হাজার ২৩৪ হেক্টর জমিতে মাসকলাই চাষ হয়েছিল। এ ছাড়া পানিতে ১০ হেক্টর জমির মরিচক্ষেত ও পাঁচ হেক্টর জমির কলাবাগান ডুবে গেছে। এতে কমপক্ষে ২৪ কোটি টাকা ক্ষতির শঙ্কা আছে।
কুষ্টিয়া পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) নির্বাহী প্রকৌশলী মো. রাশিদুর রহমান বলেন, পদ্মার পানি আবারও বাড়ছে। আরও কয়েক দিন বাড়তে পারে। এখনও বিপৎসীমার নিচে আছে। যেটুকু পানি বেড়েছে, তাতে চরাঞ্চল নিমজ্জিত।