সাবেক রাষ্ট্রপতি বদরুদ্দোজা চৌধুরী আর নেই
সাবেক রাষ্ট্রপতি ও প্রবীণ রাজনীতিবিদ অধ্যাপক ডা. এ কিউ এম বদরুদ্দোজা চৌধুরী রাজধানীর উত্তরা মহিলা মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ইন্তেকাল করেছেন (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। শুক্রবার (৪ অক্টোবর) দিনগত রাত সোয়া তিনটার দিকে মারা যান তিনি।
বদরুদ্দোজা চৌধুরীর ছেলে ও সাবেক সংসদ সদস্য মাহী বি চৌধুরী তার ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে দেওয়া এক পোস্টে এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
ফেসবুকে দেওয়া ওই পোস্টে মাহী বি চৌধুরী লেখেন, ‘আমার বাবা সাবেক রাষ্ট্রপতি অধ্যাপক বদরুদ্দোজা চৌধুরী মারা গেছেন। ইন্নালিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন। আমার বাবার জন্য দেশবাসীর কাছে দোয়া চাই। আল্লাহতায়ালা তাকে যেন জান্নাতবাসী করেন।’
গত ২ অক্টোবর ফুসফুসে সংক্রমণ হলে বদরুদ্দোজা চৌধুরীকে উত্তরা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। তিনি ‘ইসকেমিক হার্ট ডিজিজে’ ভুগছিলেন।
পরিবারের পক্ষ থেকে জানানো হয়, রাজধানীর উত্তরা মহিলা মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে বদরুদ্দোজা চৌধুরীর প্রথম জানাজা আজ সকাল ৮টায় ও বাদ জোহর বারিধারার বায়তুল আতিক জামে মসজিদে দ্বিতীয় জানাজা শেষে আগামীকাল রোববার সকাল ১০টায় মুন্সীগঞ্জের শ্রীনগর স্টেডিয়ামে তৃতীয় এবং গ্রামের বাড়ি মজিদপুর দয়হাটায় চতুর্থ জানাজা শেষে তাকে পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হবে।
বদরুদ্দোজা চৌধুরী মুন্সীগঞ্জ-১ আসন থেকে পাঁচবার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন। তিনি দুবার জাতীয় সংসদের উপনেতা এবং একবার বিরোধী দলীয় উপনেতা হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। এ ছাড়া ২০০১ সালে বিএনপি নেতৃত্বাধীন জোট ক্ষমতায় এলে তিনি পররাষ্ট্রমন্ত্রী হন। এরপর একই বছরের নভেম্বরে তিনি বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি হন। তবে মাত্র সাত মাস সাত দিনের মাথায় ২০০২ সালের ২১ জুন রাষ্ট্রপতি হিসেবে তাকে পদত্যাগ করতে হয়। এরপর তিনি ‘বিকল্পধারা বাংলাদেশ’ নামে একটি নতুন রাজনৈতিক দল গঠন করেন।
১৯৩২ সালের ১ নভেম্বর কুমিল্লায় নানাবাড়িতে জন্মগ্রহণ করেন বদরুদ্দোজা চৌধুরী। তিনি ঢাকার সেন্ট গ্রেগরী হাই স্কুল, ঢাকা কলেজ, ঢাকা মেডিকেল কলেজ ও ব্রিটেনের ওয়েলস বিশ্ববিদ্যালয়ে লেখাপড়া করেন। পরে তিনি চিকিৎসা শিক্ষায় স্নাতকোত্তর সম্পন্ন করেন এডিনবার্গ, লন্ডন ব্রোম্পটন চেস্ট ইনস্টিটিউট ও লন্ডনের হ্যামার স্মিথ পোস্ট গ্রাজুয়েট মেডিকেল স্কুলে। তিনি এমবিবিএস পরীক্ষায় প্রথম স্থান অধিকার করেছিলেন।
অধ্যাপক বদরুদ্দোজা চৌধুরী তার স্ত্রী, দুই মেয়ে ও এক ছেলে রেখে গেছেন। তার মৃত্যুতে রাজনৈতিক অঙ্গনে শোকের ছায়া নেমে এসেছে।