বিএসসির আরেক তেলবাহী জাহাজে আগুন, নিহত ১
চট্টগ্রামে ‘বাংলার সৌরভ’ নামে বাংলাদেশ শিপিং কর্পোরেশনের (বিএসসি) তেলবাহী জাহাজে বিস্ফোরণের পর আগুনের ঘটনায় একজনের মৃত্যু হয়েছে। নিখোঁজ রয়েছেন একজন। বিস্ফোরণে জাহাজে লাগা আগুন চার ঘণ্টা পর নিয়ন্ত্রণে আসে।
গতকাল শুক্রবার (৪ অক্টোবর) দিনগত রাত ১২টার দিকে জাহাজে বিস্ফোরণের পর আগুনের সূত্রপাত হয়। নৌ বাহিনী, কোস্ট গার্ড, বন্দর কর্তৃপক্ষসহ বিভিন্ন সংস্থার সদস্যরা চার ঘণ্টা চেষ্টার পর আগুন নিয়ন্ত্রণে আনেন।
বাংলাদেশ শিপিং কর্পোরেশনের মালিকানাধীন ‘বাংলার সৌরভ’ ১১ হাজার ৭০০ টন অপরিশোধিত তেল নিয়ে বন্দরের বহিঃনোঙ্গরে অপেক্ষা করছিল। এ সময় জাহাজে বিকট শব্দে আগুন ধরে যায়। বিস্ফোরণে আগুন লাগার ঘটনায় দিশেহারা হয়ে পরেন নাবিকরা। অনেকে কাজ শেষ করে গিয়েছিল ঘুমাতে। হঠাৎ করেই জাহাজে বিস্ফোরণের পর আগুন থেকে প্রাণ বাঁচাতে নদীতে ঝাঁপ দেন নাবিকরা।
জাহাজে থাকা ৪৮ জন নাবিকের মধ্যে ৪৬ জনকে জীবিত উদ্ধার করে নিয়ে আসা হয়। সমুদ্রে ভাসমান অবস্থা উদ্ধার করা হয় সাদেক মিয়া নামে একজনের মরদেহ। জাহাঙ্গীর আলম নামে একজন এখনও নিখোঁজ রয়েছেন।
তাৎক্ষণিক বিস্ফোরণের কারণ জানা না যায়নি। কোস্ট গার্ড জানায়, উদ্ধার হওয়া নাবিকদের নৌবাহিনী হাসপাতাল বানৌজা পতেঙ্গায় চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। বিএন তাজ উদ্দিনের নির্বাহী কর্মকর্তা কমান্ডার মো. আরিফুল ইসলাম জানান, আগুন লাগার ঘটনা তদন্ত করে বলা যাবে। পতেঙ্গা বহিঃনোঙ্গরে দুর্ঘটনা কবলিত ‘বাংলার সৌরভ’ জাহাজের আহত নাবিকদের নৌবাহিনী হাসপাতাল বানৌজা পতেঙ্গায় জরুরি চিকিৎসা সেবা দেওয়া হচ্ছে।
চট্টগ্রাম নৌ-অঞ্চলের কমান্ডার রিয়ার অ্যাডমিরাল মাসুদ ইকবাল জানান, নৌবাহিনীর অত্যাধুনিক চারটি টাগবোট অগ্নি নির্বাপণ ও উদ্ধার করে। এ ছাড়া কোস্টগার্ডের তিনটি মেটাল শার্ক, বিসিজিটি প্রমত্ত, উদ্ধারকারী টাগবোট কাজ করেছে। আহত নাবিকদের উদ্ধার করে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।
এর আগে গত সোমবার (৩০ সেপ্টেম্বর) বন্দরের ইস্টার্ন রিফাইনারির জেটিতে অপরিশোধিত তেল খালাসের সময় ‘বাংলার জ্যোতি’ নামে বিএসসির একটি জাহাজ বিস্ফোরণের পর আগুনের ঘটনায় তিন জন মারা যান।