যশোরেশ্বরী মন্দিরে উপদেষ্টা আসিফ, মুকুট উদ্ধারে নির্দেশনা
সাতক্ষীরার শ্যামনগর উপজেলার যশোরেশ্বরী কালী মন্দির পরিদর্শন করেছেন যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ। এ সময় তিনি বলেছেন, মন্দিরে চুরির ঘটনা দুঃখজনক। খবর শোনা মাত্রই তারা প্রশাসনকে চুরি হওয়া মুকুট দ্রুততম সময়ের মধ্যে উদ্ধারে ও চুরির সঙ্গে জড়িতদের আটক করতে নির্দেশনা দিয়েছেন।
গত বৃহস্পতিবার দুপুরে মন্দির থেকে স্বর্ণের মুকুটটি চুরি করে এক যুবক। এই মুকুটটি উপহার দিয়েছিলেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।
আজ শনিবার (১২ অক্টোবর) দুপুরে মন্দির পরিদর্শনে যান আসিফ। এ সময় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সঞ্জীব দাশ, জামায়াতের সাবেক সংসদ সদস্য গাজী নজরুল ইসলাম, উপজেলা বিএনপির সভাপতি মাস্টার আব্দুল ওয়াহেদসহ সনাতন ধর্মাবলম্বী বিভিন্ন পর্যায়ের নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ মন্দির প্রাঙ্গন ত্যাগের পর মন্দির কর্তৃপক্ষ ও স্থানীয় সনাতন ধর্মাবলম্বীদের মধ্যে বাকবিতণ্ডার সৃষ্টি হয়। একপর্যায়ে তারা হাতাহাতিতে জড়িয়ে পড়ে। পরে পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নেয়।
হাতাহাতির বিষয়ে মহারাজা প্রতাপাদিত্য স্মৃতিরক্ষা পরিষদের সভাপতি জয়দেব বিশ্বাস বলেন, নিরাপত্তাজনিত দুর্বলতার কারণে প্রতিমার মুকুট চুরির ঘটনা ঘটেছে। এতো গুরুত্বপূর্ণ ও মূল্যবান সম্পদ হওয়া সত্ত্বেও কর্তৃপক্ষ ন্যূনতম দায়িত্ববোধের পরিচয় দিতে পারেনি বলে মন্তব্য করায় পূর্বপরিকল্পিতভাবে জ্যোতি চট্টোপাধ্যায় ও তার লোকজন আমাদের ওপর চড়াও হয়।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে মন্দির কর্তৃপক্ষের পক্ষে জ্যোতি চট্টোপাধ্যায় বলেন, এমন কোনো ঘটনা ঘটেনি। তবে ঘটনার ভিডিও ফুটেজের কথা জানালে তিনি বলেন, বহিরাগতরা এমন ঘটনা ঘটাতে পারে।
এ ঘটনায় শ্যামনগর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) ফকির তাইজুল ইসলাম বলেন, যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টা মন্দির পরিদর্শন করে বেরিয়ে যাওয়ার পর মন্দির কর্তৃপক্ষ ও সনাতন ধর্মের বিভিন্ন সংগঠনের নেতৃবৃন্দের মধ্যে একটু বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হয়। পরে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নেয়।