বেগম খালেদা জিয়ার প্রতি নির্মম নির্যাতন করেছে হাসিনা : শামসুজ্জামান দুদু
বিএনপি ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু বলেছেন, তিনবারের প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার প্রতি নির্মম নির্যাতন করেছে ফ্যাসিবাদ, স্বৈরাচার শেখ হাসিনা। আজ মঙ্গলবার (১৫ অক্টোবর) জাতীয় প্রেসক্লাবের মাওলানা আকরাম খাঁ হলে বাংলাদেশ মফস্বল সাংবাদিক অ্যাসোসিয়েশনের উদ্যোগে সাবেক প্রধানমন্ত্রী দেশনেত্রী খালেদা জিয়ার সকল মামলা প্রত্যাহার ও দৈনিক দিনকালের প্রকাশক, ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক এবং বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের সব হয়রানিমূলক মামলা প্রত্যাহার করে দেশে আসার ব্যবস্থার দাবিতে এক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
শামসুজ্জামান দুদু বলেন, দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া দেশের জন্য দেশের মানুষের জন্য, দেশে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার জন্য তার জীবনকে উৎসর্গ করেছেন। ১৯৭১ সালে জাতীয় বীর শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান স্বাধীনতা ঘোষণা করেন। তখন দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া সেনাবাহিনীর কারাগারে ছিলেন। আর যারা স্বাধীনতার কান্ডারী দাবি করে তারা হয় পাকিস্তানের জেলে ছিলেন না হয় পাকিস্তান সেনাবাহিনীর আরাম আয়েশে ছিল। আর দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া তার দুটি মাসুম বাচ্চা নিয়ে পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর জেলে ছিলেন। আজ পর্যন্ত তিনি শত শত মামলা মাথায় নিয়ে আছেন। কিসের জন্য? দেশে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার জন্য। দেশের স্বাধীনতা সুরক্ষার জন্য। এই মানুষটা তার পুরো জীবনটা বিলিয়ে দিয়েছেন দেশের স্বাধীনতা গণতন্ত্র জন্য। দেশের মানুষের অধিকারের জন্য।
বিএনপির এই নেতা বলেন, বেগম খালেদা জিয়া এদেশের নারীদের জন্য যা করেছেন পৃথিবীর আর কোনো দেশে কেউ এরকম করেনি। তিনি কৃষকদের ঋণ মওকুফ করেছেন। সারের দাম কমিয়েছিলেন। তিনি দেশের জন্য যা করেছেন অন্য কোন সরকার আজ পর্যন্ত কেউ তা করতে পারেনি। তিনি বলেন, দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া ও দেশনেতা তারেক রহমানের নামে মিথ্যা মামলায় সাজা দিয়েছে। আমাদের দেশ নায়ক তারেক রহমান তার পুরো তারুণ্যটা দেশ থেকে বাইরে গিয়ে কাটাতে হয়েছে। তার নামে মিথ্যা মামলা দিয়ে জোর করে বিদেশে পাঠিয়েছে। শুধু তাই নয় ফ্যাসিবাদ আওয়ামী লীগ সরকার বাংলাদেশের পত্র-পত্রিকায় মিডিয়াতে তার বক্তব্য প্রচার করতে দেয়নি। অথচ ওনাদের দুজনের মামলা এখনো প্রত্যাহার করা হয়নি।
শামসুজ্জামান দুদু বলেন, এদেশে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার জন্য বিএনপির নেতাকর্মীরা যত হামলা মামলা গুমের শিকার হয়েছে, পৃথিবীর আর কোনো রাজনৈতিক দল এর শিকার হয়নি। তাদের একটা মামলাও প্রত্যাহার হয়নি। শেখ হাসিনার আমলে যেমন হাজিরা দিত হত, এখনও দিতে হচ্ছে। আমাদের অনেক নেতা দেশের গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার জন্য শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে কথা বলার জন্য ফাঁসির আসামি হয়ে জেলে আছে। আপনি গণতন্ত্র চাইবেন আর গণতন্ত্রের সৈনিকদেরকে জেলে রাখবেন, তাদের মাথার ওপর মামলা রাখবেন—এটা তো হয় না।
শেখ হাসিনার উদ্দেশে দুদু বলেন, গঙ্গায় গেছেন, ভালো করে পরিষ্কার হন। মন পরিষ্কার করেন, তারপরে ভেবেচিন্তে দেখা যাবে। অনেকে বলে ৩০ বছর ৬০ বছরের মধ্যে আপনারা ক্ষমতায় আসতে পারবেন না।