বিএনপিনেতা অসীমের বিরুদ্ধে অভিযোগ ভিত্তিহীন, দাবি ভুক্তভোগীর
অবৈধভাবে জমি দখল ও জোরপূর্বক বাড়ি দখল বিষয়ে বিএনপির আন্তর্জাতিকবিষয়ক সম্পাদক ব্যারিস্টার নাসির উদ্দিন আহমেদ অসীমের বিরুদ্ধে করা অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যা, ভিত্তিহীন ও উদ্দেশপ্রণোদিত বলে দাবি করেছেন ভুক্তভোগী পরিবারের সদস্যরা। তারা বলেন, বিষয়টি নিয়ে রাজনৈতিক রূপ দেওয়ার চেষ্টা চলছে।
আজ শনিবার (১৯ অক্টোবর) ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে এক সংবাদ সম্মেলনে জমির প্রকৃত মালিকরা এ দাবি করেন।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন জমির মালিক জাকেরা ইসলাম, নাসরীন সুলতানা, নাহিদ ইসলাম মনিকা, আবিদা ইসলাম, সরফুদ্দিন সোহাগ এবং তাবাসসুম ফেরদৌস শাওন।
লিখিত বক্তব্যে নাহিদ ইসলাম মনিকা দাবি করেন, শুক্রবার পারভীন নামের এক নারী সংবাদ সম্মেলনে কোনো বিশেষ ব্যক্তির প্ররোচণায় রাজনৈতিক প্রতিহিংসার কারণে পরিচ্ছন্ন রাজনীতিবিদ ব্যারিস্টার নাসির উদ্দিন আহমেদ অসীমকে জড়িয়ে যে বক্তব্য দিয়েছেন, যা সম্পূর্ণ মিথ্যা, ভিত্তিহীন ও উদ্দেশপ্রণোদিত। তিনি আরও বলেন, আমি বা আমার পরিবারের কেউ এ বিষয়ে ব্যারিস্টার অসীমের স্মরণাপন্ন হইনি এবং আমার জানামতে তিনি এ বিষয়ে কিছুই জানেন না।
মনিকা বলেন, এই বাড়ি ও জমি আমাদের, আমরা এর প্রকৃত মালিক হওয়া স্বত্ত্বেও তারা এখন পর্যন্ত বাড়িটি দখল করে আছে। সংবাদ সম্মেলন করলে আমরা করব। তিনি বলেন, প্রকৃতপক্ষে দীর্ঘ প্রায় ৫০ বছর ধরে আমার বাবা অ্যাডভোকেট নুরুল ইসলাম তালুকদার বৈধভাবে ক্রয় করে ওই জমি ভোগদখল করে আসছিলেন। কিন্তু পারভীন গংরা অবৈধভাবে কোন রকম কাগজপত্র ছাড়া জমির মালিকানা দাবি করে এবং গত ১৪ সেপ্টেম্বর জোরপূর্বক সেই বাড়ি দখল করে আছেন সে বিষয়ে অবহিত করতেই আজকের এই সংবাদ সম্মেলন।
নাহিদ ইসলাম মনিকা বলেন, আমার বাবা অ্যাডভোকেট নুরুল ইসলাম তালুকদার পারভীন গংয়ের মাকে দয়া করে সেখানে আশ্রয় সরূপ থাকতে দেয়। পরবর্তীতে তিনি দেখাশুনা করেন এবং প্রতি মাসের ভাড়া তুলে আমার কাছে পৌঁছে দেবেন এবং এর বিনিময়ে তাদের থাকার জন্য একটি রুম দেওয়া হয়। এভাবেই চলে আসছিল। কিন্তু আমার বাবা ও মা মারা যাওয়ার পরে তারা নানা রকম প্রতারণা করে বাড়িটি দখলের পাঁয়তারা করেন এবং বাড়িটিকে মাদকের আখরায় পরিণত করেন। পরবর্তীতে তাদের এই অপচেষ্টা রোধের বিষয়টি স্থানীয় জনপ্রতিনিধি হতে আদালত পর্যন্ত গড়ায় এবং আমাদের বিরুদ্ধে থানায় ও আদালতে মিথ্যা মামলা দেয়, যা আইনগত প্রক্রিয়ায় মিথ্যা ও ভিত্তিহীন প্রমাণিত হয়।
মনিকা আরও বলেন, বিগত সরকারের আমলে রাজনৈতিকভাবে হেয় প্রতিপন্ন করে ১৮ নম্বর ওয়ার্ডের আওয়ামী লীগের সভাপতি বিপ্লব সরকারের যোগসাজসে বিভিন্ন প্রকার হুমকি দিয়ে পাঁচ লাখ টাকা জোরপূর্বক আদায় করে এবং এই জমিতে আর কোনোদিন আসবে না বলে বাড়ি থেকে চলে যায়। এরপর আবার গত দুই বছর ধরে বাড়িটি নতুন করে মেরামত করে ভোগদখল করে আসছিল।
মনিকা বলেন, সংবাদ সম্মেলনে পারভীন এই জায়গাটিকে সরকারি ও পরিত্যক্ত বলে যে দাবি করেছেন তা সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন। আমরা যে এই সম্পত্তির মালিক তার যথাযথ দালিলিক প্রমাণাদি আমাদের কাছে আছে।