আপিলের অনুমতি পেলেন ড. মুহাম্মদ ইউনূস
গ্রামীণ টেলিকমের শ্রমিক-কর্মচারীদের লভ্যাংশ আত্মসাতের মামলায় অভিযোগ গঠনের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে আবেদন খারিজের বিরুদ্ধে প্রতিষ্ঠানটির চেয়ারম্যান নোবেলজয়ী অধ্যাপক ও অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে আপিলের অনুমতি দিয়েছেন দেশের সর্বোচ্চ আদালত। আজ সোমবার (২১ অক্টোবর) প্রধান বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদের নেতৃত্বাধীন আপিল বিভাগ এ আদেশ দেন।
একইসঙ্গে আপিলের শুনানির জন্য আগামী ১৯ নভেম্বর দিন ধার্য করা হয়েছে। আদালতে ড. ইউনূসের পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার আবদুল্লাহ আল মামুন। রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান।
ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগ সরকার পতনের পর ৮ আগস্ট অন্তর্বর্তী সরকারের দায়িত্ব নেন ড. মুহাম্মদ ইউনূস। অন্তর্বর্তী সরকারে তার নাম ঘোষণার পর প্রথমে শ্রম আইনের মামলা থেকে খালাস পান তিনি। এর চারদিন পর দুদক প্রত্যাহারের আবেদন করলে দুর্নীতির মামলা থেকেও খালাস দেওয়া হয় ইউনূসসহ ১৪ জনকে। সে সময় ইউনূসের আইনজীবী বলছিলেন, তারা এভাবে মামলা প্রত্যাহার চান না। লড়তে চান যথাযথ আইনি প্রক্রিয়ায়। ক্ষমতায় আসার পর মামলা প্রত্যাহারে জাতির কাছে ভুল বার্তা যাচ্ছে।
এর আগে গত ২৪ জুলাই গ্রামীণ টেলিকমের শ্রমিক-কর্মচারীদের লভ্যাংশ আত্মসাতের মামলায় অভিযোগ গঠনের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে প্রতিষ্ঠানটির চেয়ারম্যান নোবেলজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূসের আবেদন খারিজ করে দেন হাইকোর্ট। একইসঙ্গে এক বছরের মধ্যে মামলা নিষ্পত্তি করতে বিচারিক আদালতকে নির্দেশ দেন আদালত। বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি কাজী ইবাদত হোসেনের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন। পরে হাইকোর্টের আদেশের বিরুদ্ধে আপিল বিভাগে আবেদন করেন ড. ইউনূস।
এর আগে গ্রামীণ টেলিকমের শ্রমিক-কর্মচারীদের লভ্যাংশ আত্মসাতের মামলায় অভিযোগ গঠনের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে আবেদন করেন প্রতিষ্ঠানটির চেয়ারম্যান নোবেলজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূস। আবেদনে অভিযোগ গঠনের আদেশ বাতিল চাওয়া হয়। গত ১২ জুন গ্রামীণ টেলিকমের শ্রমিক-কর্মচারীদের লভ্যাংশ আত্মসাতের মামলায় প্রতিষ্ঠানটির চেয়ারম্যান নোবেলজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূসসহ ১৪ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন আদালত।