ব্যারিকেড ভেঙে বঙ্গভবনে ঢোকার চেষ্টা বিক্ষুব্ধদের
রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিনের পদত্যাগের দাবিতে বঙ্গভবনের সামনে অবরোধ করেছিলেন আন্দোলনকারীরা। একপর্যায়ে ব্যারিকেড ভেঙে ভেতরে প্রবেশের চেষ্টা করেন তারা। রাষ্ট্রপতির বরাতে মানবজমিনের প্রকাশনা জনতার চোখের প্রচ্ছদ প্রতিবেদনে ‘নেপথ্যের গল্প’তে প্রধান সম্পাদক মতিউর রহমান চৌধুরী জানান, রাষ্ট্রপতি তাকে জানিয়েছেন, তিনি শুনেছেন শেখ হাসিনা পদত্যাগ করেছেন, কিন্তু তার কাছে কোনো দালিলিক প্রমাণ নেই। তারপর থেকেই রাষ্ট্রপতিকে নিয়ে তীব্র সমালোচনা ও ক্ষোভের সৃষ্টি হয়।
রাতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের পক্ষ থেকে হাসনাত আব্দুল্লাহ কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে গণজমায়েত হবে বলে ঘোষণা দেন। এরপর আজ বিকেল সাড়ে ৩টা থেকে শুরু হয় শিক্ষার্থীদের গণজমায়েত। সেখানে অবিলম্বে ’৭২ এর সংবিধানকে বাতিল ও সেই সংবিধানের জায়গায় ’২৪ এর গণঅভ্যুত্থানের পক্ষ থেকে নতুন সংবিধান, চলতি সপ্তাহের মধ্যে ছাত্রলীগকে সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে আজীবন নিষিদ্ধ করাসহ পাঁচদফা দাবি জানানো হয়। পরে হাসনাত আব্দুল্লাহকে আহ্বায়ক ও আরিফ সোহেলকে সদস্য সচিব করে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কেন্দ্রীয় আহ্বায়ক কমিটি গঠন হয়।
এমন এক সময় বঙ্গভবন থেকে আমাদের প্রতিবেদক জানান, সেখানে আন্দোলনকারীরা রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিনের বঙ্গভবনের সামনের ব্যারিকেড ভেঙে ফেলেছেন। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে চেষ্টা করেন পুলিশ সদস্যরা। এমন সময় কিছু আন্দোলনকারীর ওপর পুলিশি লাঠিচার্জ হয়েছে বলে অভিযোগ উঠলে অন্যরা মারমুখী হয়ে ওঠেন। পুলিশের বিরুদ্ধে স্লোগান দিতে থাকেন। এ সময় সেনা সদস্যরা পুলিশ সদস্যদের ভেতরে নিয়ে সামনের সারিতে অবস্থান নেন। আন্দোলনকারীদের সঙ্গে কথা বলার চেষ্টা করেন। একপর্যায়ে সেখানে ফের ব্যারিকেড তৈরি করেন। যদিও তার ওপর দাঁড়িয়ে বিক্ষোপ প্রদর্শন করতে দেখা গেছে জনতাকে।
এর আগে সড়ক অবরোধের সময় আন্দোলনকারীরা এক ঘণ্টার মধ্যে আইন উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. আসিফ নজরুলকে সেখানে আসার দাবি জানান। তারা এই উপদেষ্টার কাছ থেকে তাদের দাবির বিষয়ে সরকারের অবস্থান জানতে চান।