ফরিদপুরে সাবেক এমপি শাহদাবসহ ৭৭ জনের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা
প্রায় ১১ বছর আগে বিএনপির শান্তিপূর্ণ মিছিলে গুলিতে স্বেচ্ছাসেবক লীগের কর্মী মারুফ শেখের মৃত্যু হয়। ওই সময় গুলির আঘাতে ঘটনাস্থলেই মারা যান মারুফ। এ ঘটনায় গতকাল মঙ্গলবার (২২ অক্টোবর) জেলার জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম আদালতে নিহতের মা ছালেহা বেগম ছলে মামলা দায়ের করেন। মামলায় ফরিদপুর-২ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য শাহদাব আকবর চৌধুরী লাবুসহ ৭৭ জনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে। এ ছাড়া ৫০ থেকে ৬০ জনকে অজ্ঞাতনামা আসামি করা হয়েছে।
এ মামলার আসামিদের মধ্যে রয়েছেন নগরকান্দা উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও জেলা আওয়ামী লীগের শিল্প ও বাণিজ্য বিষয়ক সম্পাদক জামাল হোসেন মিয়া (৪৫), তার ভাই তালমা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান কামাল হোসেন মিয়া, পৌর যুবলীগের সাবেক আহ্বায়ক কামরুজ্জামান মিঠু, দেলো ফকির, সদ্য বহিষ্কৃত নগরকান্দা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান শাহজামান বাবুল কাজী ও সালথা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ওয়াদুদ মাতুব্বরসহ অন্যান্যরা।
এ মামলার বাদী ছালেহা বেগম বলেন, ২০১৩ সালে বিএনপি-জামায়াতের ডাকা হরতালের সময় সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। সে সময় গুলিতে আমার ছেলে মারুফ শেখ নিহত হয়। ওই সময় বারবার চেষ্টা করেও মামলা করতে পারিনি। এজন্য পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে ১১ বছর পর মামলা করতে হলো।
মামলার এজাহারে বলা হয়েছে, ২০১৩ সালের ২৩ অক্টোবর বিএনপির শান্তিপূর্ণ মিছিলের হামলা করেন আসামিরা। এ সময় গুলির আঘাতে ঘটনাস্থলেই মারা যান মারুফ। হামলায় সাইফ মুন্সি নামে আরেকজন গুরুতর আহত হয়ে পঙ্গুত্ব বরণ করেন।
এ মামলার আইনজীবী এ কে এম হাবিুবুর রহমান হাফিজ বলেন, আদালত মামলাটি গ্রহণ করে তদন্তের জন্য পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগকে (সিআইডি) নির্দেশ দিয়েছেন। মামলাটি যেহেতু পুরাতন সেহেতু আদালত মনে করেছেন সিআইডিকে দিয়ে তদন্ত করে সঠিক তথ্য উপস্থাপন করা যাবে।
২০১৩ সালে এ ঘটনায় নগরকান্দা থানার এসআই খলিলুর রহমান বাদী হয়ে একটি হত্যা মামলা করেন। সেই মামলায় ১৪৬ বিএনপি ও হেফাজতে ইসলামের নেতাকর্মীকে আসামি করা হয়।