বিদ্যুৎস্পর্শে প্রাণ গেল মা-বাবা ও মেয়ের
কুষ্টিয়ায় বিদ্যুৎস্পর্শ হয়ে মা-বাবা ও মেয়ের মৃত্যু হয়েছে। আজ বুধবার বিকেল ৪টার দিকে শহরতলীর হাউজিং কদমতলা বি ব্লকের ৩৯৩ নং বাসায় এ ঘটনা ঘটে। নিহতরা হলেন কদমতলা এলাকার মৃত শামসুল হকের ছেলে মো. সালাম (৪০), তাঁর স্ত্রী রূপা খাতুন (৩৫) ও মেয়ে সাবা খাতুন (১৩)।
এ ঘটনায় ভাতিজা সিয়াম (১৩) আহত হয়েছে। তাকে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।
২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালের জরুরি বিভাগে দায়িত্বরত চিকিৎসক সজীব উদ্দিন স্বাধীন এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
পরিবার ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, রূপা খাতুন বিকেল ৪টার দিকে নিজের ঘরে ঝাড়ু দিচ্ছিলেন। এ সময় ঘরের ভেতর ঝুলে থাকা বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যান তিনি। তাঁকে উদ্ধার করতে গিয়ে তাঁর স্বামী সালামও বিদ্যুতায়িত হন। পরে তাদের বাঁচাতে গেলে মেয়ে সাবা খাতুনও বিদ্যুতায়িত হয়। এরপর সালামের ভাতিজা সিয়াম (৯) তাদের কাছে এগিয়ে গেলে সেও বিদ্যুতায়িত হয়।
স্থানীয়রা তাদের উদ্ধার করে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে গেলে সেখানে মা-বাবা ও মেয়ের মৃত্যু হয়। ভাতিজাকে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।
হাসপাতালে নিয়ে আসা প্রতিবেশী রাজিব বলেন, বিকেলে সালামের বাড়িতে গিয়ে দেখতে পাই বিদ্যুৎস্পর্শ হয়ে তিনি, তাঁর স্ত্রী, মেয়ে ও ভাতিজা ঘরের মেঝেতে পড়ে রয়েছে। পরে স্থানীয়দের সহযোগিতায় তাদের উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে এলে চিকিৎসক তিনজনকে মৃত ঘোষণা করেন।
নিহত সালামের চাচাতো ভাই সাইদুল ইসলাম জানান, সালামের শহরের জেলখানা মোড়ে ফটোকপির দোকান রয়েছে। দুপুরে খাবার খাওয়ার জন্য বাড়িতে এসেছিলেন তিন। ওই সময় ঘরের ভেতর পরিবারের সবাই অবস্থান করছিলেন। একদিন আগেই বাড়িতে ইলেকট্রিকের কাজ করিয়েছিলেন বলে জানান তিনি। ভাগ্নি সাবা খাতুন হাউজিং প্রাইমারি স্কুলের চতুর্থ শ্রেণিতে লেখাপড়া করত।
কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালের দায়িত্বরত চিকিৎসক ডা. সজীব উদ্দিন স্বাধীন বলেন, তিনজনকে হাসপাতালে নিয়ে এলে তাদের মৃত ঘোষণা করা হয়। আহত আরেকজনকে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।
হাসপাতাল পুলিশ ফাঁড়ির দায়িত্বরত সদস্য সোহেল জানান, বিদ্যুৎস্পর্শ হয়ে নিহত মা-বাবা ও মেয়ের মরদেহ হাসপাতাল মর্গে রাখা হয়েছে।