ব্রিকস সম্মেলনে বাংলাদেশের অগ্রণী ভূমিকাকে সমর্থন করবে রাশিয়া
রাশিয়ান ফেডারেশনের উপপররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই রিয়াবকভ বাংলাদেশের সঙ্গে 'পরিণত' সম্পর্ককে নতুন উচ্চতায় নিয়ে যাওয়ার অঙ্গীকার করেছেন। ব্রিকস প্রক্রিয়ার সঙ্গে সম্পৃক্ত থাকার প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করায় বাংলাদেশ সরকারকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন তিনি। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলছে, জোটের ভবিষ্যৎ সম্প্রসারণের সময় রাশিয়া সরকার বাংলাদেশকে বৃহত্তর ভূমিকায় সমর্থন করবে বলে আশ্বাস দেন তিনি।
রাশিয়ার কাজানে ১৬তম ব্রিকস শীর্ষ সম্মেলনের ফাঁকে পররাষ্ট্র সচিব মো. জসিম উদ্দিন রাশিয়ার পররাষ্ট্র উপমন্ত্রীর সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বৈঠকে আলোচনা করেন। বৈঠকে উভয় পক্ষ পারস্পরিক স্বার্থ ও সহযোগিতার ক্ষেত্র নিয়ে আলোচনা করে। দুই দেশের মধ্যে সম্পর্ক আরও জোরদার করার দিকে মনোনিবেশ করেন তারা। আলোচনায় রাশিয়ার মস্কোতে পরবর্তী ফরেন অফিস কনসালটেশন (এফওসি) আয়োজনের বিষয়েও আলোচনা হয়।
পররাষ্ট্র সচিব বাংলাদেশ ও রাশিয়ার মধ্যকার ঐতিহাসিক সম্পর্কের কথা তুলে ধরেন। একই সঙ্গে দু'দেশের মধ্যে জ্বালানি ও খাদ্য নিরাপত্তার ক্ষেত্রে সহযোগিতার ওপর গুরুত্বারোপ করেন তারা।
ব্রিকস সম্মেলনে বাংলাদেশকে আমন্ত্রণ জানানোর জন্য পররাষ্ট্র উপমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানান পররাষ্ট্র সচিব। পাশাপাশি ব্রিকস প্রক্রিয়ায় অবদান রাখতে বাংলাদেশের গভীর আগ্রহের কথা ব্যক্ত করেন।
বহুপাক্ষিকতায় দৃঢ় বিশ্বাস এবং একটি বহুমুখী ও নিয়মভিত্তিক বিশ্ব ব্যবস্থার জন্য বহুপাক্ষিক বিষয়ে বাংলাদেশের অবস্থানের প্রশংসা করে রিয়াবকভ বলেন, রাশিয়ার প্রেসিডেন্সির অধীনে ব্রিকস ঘোষণায় (কাজান ঘোষণা) উন্নয়নশীল দেশগুলোর জন্য বাস্তব ও ফলাফলমুখী সহযোগিতার ওপর গুরুত্বারোপ করা হবে। নিউ ডেভেলপমেন্ট ব্যাংকের (এনডিবি) পূর্ণাঙ্গ সদস্য হিসেবে বাংলাদেশের ভূমিকার কথা তুলে ধরেন এবং সহযোগিতার অব্যাহত আশ্বাস দেন তিনি।
বৈঠকে মস্কোয় অবস্থিত বাংলাদেশ দূতাবাসের সিডিএ ফয়সাল আহমেদসহ উভয় পক্ষের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
এর আগে রাশিয়ার কাজানে ১৬তম ব্রিকস শীর্ষ সম্মেলনে বক্তব্য রাখতে গিয়ে পররাষ্ট্র সচিব বলেন, বাংলাদেশ নিয়মভিত্তিক আন্তর্জাতিক বাণিজ্য ব্যবস্থার উন্নয়নে এবং আন্তর্জাতিক আর্থিক প্রতিষ্ঠানের সংস্কার, অভিবাসীদের অধিকার, জলবায়ু ন্যায়বিচার, ঋণ স্থায়ীত্ব, ন্যায্য ও অন্তর্ভুক্তিমূলক বৈশ্বিক শৃঙ্খলার বিষয়ে গ্লোবাল সাউথের কণ্ঠস্বর জোরদার করতে ব্লকে অবদান রাখার অপেক্ষায় রয়েছে। বাংলাদেশ গাজায় গণহত্যা বন্ধের আহ্বানও জানিয়েছে।