১২ দলীয় জোটের সাথে বৈষম্যবিরোধীদের বৈঠক
জাতীয় ঐক্য সৃষ্টি ও রাষ্ট্রপতির পদত্যাগসহ রাজনৈতিক বন্দোবস্তের জন্য আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও জাতীয় নাগরিক কমিটি। আজ রোববার (২৭ অক্টোবর) ১২ দলীয় জোটের শীর্ষ নেতাদের সাথে বৈঠক করেছে সংগঠন দুটির নেতাকর্মীরা।
এর আগে, শনিবার সন্ধ্যায় বিএনপির সিনিয়র নেতাদের সাথে বৈঠক করেছেন সংগঠন দুটির প্রতিনিধিরা।
বৈঠক শেষে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহ্বায়ক হাসনাত আব্দুল্লাহ গণমাধ্যমকে জানান, বিএনপির সাথে তিনটি বিষয় নিয়ে আলোচনা করেছি। প্রথমত প্রক্লেমেশন অব সেকেন্ড রিপাবলিক কীভাবে করা যায়, সেটি নিয়ে কথা বলেছি। দ্বিতীয়ত. রাষ্ট্রপতির অপসারণ দ্রুততম সময়ে কীভাবে করা যায়, রাজনৈতিক চেতনা কীভাবে তৈরি করা যায়, যেকোনো ধরনের সংকট কীভাবে পরিহার করা যায়, সেটা নিয়ে আলোচনা হয়েছে। তৃতীয়ত. জাতীয় ঐক্য কীভাবে ধরে রেখে সরকারের সার্বিক ফাংশনিংয়ের ধারবাহিকতা অব্যাহত রাখা যায়, সেই বিষয়ে কথা বলেছি।
হাসনাত আব্দুল্লাহ আরো বলেন, গত দুদিন আমরা বিএনপির পাশাপাশি জামায়াতে ইসলামী এবং ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের সাথে বৈঠক করেছি। তাদের সাথেও এসব বিষয়ে কথা বলেছি। তাদের জায়গা থেকে তারা একমত পোষণ করেছেন। আজ গণঅধিকার পরিষদ, গণতন্ত্র মঞ্চ, ১২ দলীয় জোটের সাথে আমাদের বৈঠক হয়েছে। ইতোমধ্যে গত ৫ আগস্ট যে জাতীয় ঐক্য প্রতিষ্ঠা হয়েছে, সেটার ধারাবাহিকতা কীভাবে ধরে রাখা যায়, এর জন্য আমাদের এসব বৈঠক অব্যাহত থাকবে।
বৈঠকে ১২ দলীয় জোটের পক্ষ থেকে জোট প্রধান মোস্তফা জামাল হায়দার, মুখপাত্র শাহাদাত হোসেন সেলিম, সমন্বয়ক সৈয়দ এহসানুল হুদা, জমিয়ত উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশের মুফতি গোলাম মহিউদ্দিন ইকবাল, বিকল্পধারা বাংলাদেশের অধ্যাপক নূরুল আমিন বেপারী, লেবার পার্টির লায়ন ফারুক রহমান, বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টির শামসুদ্দিন পারভেজ, জাতীয় পার্টির এএসএম শামীম উপস্থিত ছিলেন।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও জাতীয় নাগরিক কমিটির পক্ষ থেকে উপস্থিত ছিলেন জাতীয় নাগরিক কমিটির আহ্বায়ক মুহাম্মদ নাসিরুদ্দিন পাটওয়ারী, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহ্বায়ক হাসনাত আবদুল্লাহ, সদস্য সচিব আরিফ সোহেল, সমন্বয়ক সারজিস আলম, মুখ্য সংগঠক আব্দুল হান্নান মাসউদ, জাতীয় নাগরিক কমিটির মুখপাত্র সামান্তা শারমিন, সদস্য আরিফুল ইসলাম আদিব, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মুখপাত্র উমামা ফাতেমা।