ভৈরবে দুই পক্ষের সংঘর্ষে নিহত ১, আহত অর্ধশতাধিক
কিশোরগঞ্জের ভৈরব উপজেলার সাদেকপুর ইউনিয়নের (ইউপি) মৌটুপী গ্রামে বিবদমান দুই দল গ্রামবাসীর মধ্যে সংঘর্ষে একজন নিহত হয়েছেন। আজ বৃহস্পতিবার (৩১ অক্টোবর) সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত ওই গ্রামের সরকারবাড়ির বর্তমান চেয়ারম্যান সরকার সাফায়েত উল্লাহ ও কর্তাবাড়ির সাবেক চেয়ারম্যান তোফাজ্জুল হকের লোকজনের মধ্যে এই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
নিহত ব্যক্তির নাম আব্দুল কাইউম মিয়া (৪৫। তিনি আওয়ামী লীগ সমর্থিত ইউপি চেয়ারম্যান সরকার সাফায়েত উল্লাহ সমর্থক। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন উভয়পক্ষের কমপক্ষে অর্ধশতাধিক লোক। ১৫/২০টি বাড়ি-ঘরে হামলা চালিয়ে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করা হয়।
খবর পেয়ে দুপুরে পুলিশ ও সেনাবাহিনীর যৌথ দল ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। আহতদের ভৈরব ও কুলিয়ারচরের বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে যায় তাদের স্বজনরা। গুরুতর আহতদের মধ্যে আটজনকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ ও জহুরুল ইসলাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে বলে জানিয়েছেন উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. বুলবুল আহম্মেদ।
বর্তমানে পরিস্থিতি আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর নিয়ন্ত্রণে আছে বলে জানিয়েছেন ভৈরব থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো. শাহিন। তবে পরবর্তী অপ্রীতিকর অবস্থা মোকাবিলায় এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে বলেও জানান তিনি।
এর আগে গত ১৩ সেপ্টেম্বর বিকেলে সরকারবাড়ি ও কর্তাবাড়ির লোকজনের মধ্য এক রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষে ইকবাল হোসেন নামে সরকারবাড়ির একজন নিহত হন। আহত হন নারী-পুরুষসহ উভয়পক্ষের শতাধিক লোক।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, সাদেকপুর ইউনিয়নের মৌটুপী গ্রামে আধিপাত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে অর্ধশত বছর ধরে সরকারবাড়ি ও কর্তাবাড়ির লোকজনের মধ্য বিবাদ চলে আসছে। যার কারণে কিছুদিন পর পরই বিভিন্ন বিষয় নিয়ে দুই বংশের মধ্য সংঘর্ষের ঘটনা ঘটছে। ইতোমধ্যে উভয়পক্ষের ১০ থেকে ১২ জন নিহতসহ আহত হয়েছে শত শত মানুষ। ক্ষতি হয়েছে কোটি কোটি টাকার সম্পদ।
গত জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পর দুই বংশের সংঘর্ষে কর্তাবাড়ির নাদিম কর্তা নামের এক যুবক নিহত হন। তাঁর মৃত্যুর পর থেকে দুই পক্ষের মধ্য প্রায়ই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটতে থাকে। এতে সরকারবাড়ির সমর্থক তিনজন ও কর্তাবাড়ির সমর্থক দুজনের মৃত্যুর ঘটনা ঘটে।