জাতীয় পার্টির কার্যালয়ে আগুন, দুই দফা চেষ্টায় নির্বাপণ
জাতীয় পার্টির বিজয়নগর কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। আজ বৃহস্পতিবার (৩১ অক্টোবর) রাত পৌনে ৮টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। দুই দফা চেষ্টায় আগুন নির্বাপণ করেন তারা। তবে, কীভাবে এই আগুনের সূত্রপাত, তা নিশ্চিত করতে পারেনি ফায়ার সার্ভিস।
ছাত্র অধিকার পরিষদের সাংগঠনিক সম্পাদক হারুন রশিদ সাংবাদিকদের বলেন, সন্ধ্যা ৬টায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসি থেকে আমরা বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতাকে নিয়ে মিছিল শুরু করি। বিজয়নগর পানির ট্যাঙ্কির সামনে সংক্ষিপ্ত সমাবেশের মাধ্যমে মিছিল শেষ হওয়ার কথা ছিল। তবে, মিছিলটি জাতীয় পার্টির কেন্দ্রীয় দপ্তরের সামনে যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে উপর্যুপরি আক্রমণ হয়। আমাদের দলের প্রায় ২০ জন আহত হয়েছেন।
এ বিষয়ে গণঅধিকার পরিষদের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হাসান আল মামুন বলেন, জাতীয় পার্টির কেন্দ্রীয় দপ্তরে যুবলীগ ও ছাত্রলীগ কর্মীদের আগে থেকেই অবস্থান ছিল। মিছিলটি আসার সঙ্গে সঙ্গে তারা ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে। লাঠিসোঁটা নিয়ে হামলা করে। তাদের সঙ্গে যোগ দেন জাতীয় পার্টির নেতাকর্মীরা। পরে বিক্ষুব্ধ ছাত্রজনতা এক হয়ে প্রতিরোধ গড়ে তোলেন।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহ্বায়ক হাসনাত আব্দুল্লাহ ও জুলাই শহীদ স্মৃতি ফাউন্ডেশনের সাধারণ সম্পাদক সারজিস আলমও বিজয়নগরে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছিলেন। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে তারা এই ঘোষণা দেন। পোস্টে সারজিস লেখেন, জাতীয় পার্টি অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে বিজয়নগরে আমাদের ভাইদের আঘাত করেছে, অস্ত্র নিয়ে মহড়া দিচ্ছে। রাজু ভাস্কর্য থেকে মিছিল নিয়ে আমরা বিজয়নগরে যাচ্ছি। জাতীয় বেইমানদের নিশ্চিহ্ন করতে হবে।
হাসনাত আব্দুল্লাহ লেখেন, রাজু ভাস্কর্য থেকে ৮.৩০ এ মিছিল নিয়ে আমরা বিজয়নগরে মুভ করব। জাতীয় বেইমানদের নিশ্চিহ্ন করতে হবে।
এর আগে, সন্ধ্যা ৬টার দিকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাস্কর্যে ‘পতিত ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগ ও তাদের দোসর জাতীয় পার্টির রাজনৈতিক অপতৎপরতা ও দেশবিরোধী চক্রান্তের’ প্রতিবাদে ‘ফ্যাসিবাদবিরোধী ছাত্র শ্রমিক জনতা’ ব্যানারে মশাল মিছিল করেন শিক্ষার্থীরা।
এ সময় জাতীয় পার্টিকে আওয়ামী লীগের দোসর আখ্যা দিয়ে তাদের রাজনীতি করার অধিকার নেই বলে জানান বক্তারা। তারা বলেন, রাজনৈতিক অতৎপরতা ও দেশবিরোধী চক্রান্ত এই দেশে হবে না।
আগুন কীভাবে ঘটেছে সে বিষয়ে ফায়ার সার্ভিস কোনো তথ্য দিতে পারেনি। ডিউপি অফিসার মো. শাহজাহান হোসেন এনটিভি অনলাইনকে বলেন, তারা সন্ধ্যা ৭টা ৪০ মিনিটে আগুনের খবর পান, রাত ৮টা ১২ মিনিটে আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে এবং ৮টা ২২ মিনিটে তা নির্বাপণ করা হয়। এরপর তাদের ইউনিউট সেখান থেকে চলে আসে। পরে রাত ৯টা ৮ মিনিটে ফের ধোঁয়া ওড়ার খবর পান। এরপর সেখানে আবারও ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা পৌঁছে ৯টা ৫২ মিনিটে আগুন পুরোপুরি নির্বাপণ করতে সক্ষম হন।
এক প্রশ্নে জবাবে পথে কোনো প্রতিবন্ধকতা হয়নি উল্লেখ করে শাহজাহান জানান, পুলিশ ও সেনাবাহিনী তাদের কাজের সময় সহযোগিতা করেছে।