সেনাবাহিনী-পুলিশের ওপর অটোরিকশা চালকদের ইটপাটকেল নিক্ষেপ
অটোরিকশা বন্ধে হাইকোর্টের রায়ের প্রতিবাদে রাস্তা অবরোধ করেছে আন্দোলনরত অটোরিকশা চালকরা। চালকদের সরিয়ে দিতে চাইলে সেনাবাহিনী ও পুলিশের ওপর ইট-পাটকেল ও রেললাইনের পাথর ছুড়ছে আন্দোলনকারীরা। আজ বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) বেলা ১১টা ৪০ মিনিটে সেনাবাহিনীর একটি দল আন্দোলনকারীদের মহাখালী থেকে সরিয়ে দিতে চাইলে এই অবস্থার সৃষ্টি হয়।
মহাখালী এলাকায় সেনাবাহিনী প্রথমে ধাওয়া দিয়ে আন্দোলনকারী অটোরিকশা চালকদের সরিয়ে দেয়। এর কিছুক্ষণ পরই প্রথমে মহাখালীর দিক থেকে ও পরে তেজগাঁও রেললাইনের ওপর দিয়ে চলে যাওয়া আন্দোলনকারীরা ইট-পাটকেল ও রেললাইনের পাথর ছুড়ে মারতে থাকে। একপর্যায়ে আন্দোলনকারীদের অতর্কিত হামলায় সেনাবাহিনী ও পুলিশ পিছু হটলে আন্দোলনকারীরা ধাওয়া করতে করতে রাওয়া কমপ্লেক্স পর্যন্ত চলে আসে।
এ সময় রড ও বিভিন্ন লাঠি হাতে এসকেএস টাওয়ারে হামলা ভাঙচুর চালায় অটোরিকশা চালকরা।
অন্যদিকে রাজধানীর রামপুরা এলাকায় ঘটেছে ভিন্ন ঘটনা। আজ দুপুর ১টার দিকে সেনাবাহিনীর একটি দল ঘটনাস্থলে পৌঁছালে রিকশাচালকরা সড়ক ছেড়ে পালিয়ে যায়। এ সময় স্থানীয় মানুষ ও পথচারীরাও রিকশাচালকদের ধাওয়া করে। এতে সড়ক থেকে সরে যান রিকশাচালকরা। ফলে সড়কে যানচলাচল শুরু হয়েছে।
এদিকে রাজধানীর আগারগাঁও এলাকায় ছাত্রদের সঙ্গে আন্দোলনকারী অটোরিকশা চালকদের হাতাহাতির ঘটনা ঘটেছে। এ সময় চালকরা তাদের ওপর ক্ষীপ্ত হয়ে তাড়া দিলে তারা পিছু হটতে বাধ্য হয়। বৃহস্পতিবার দুপুর ১২টার পরে আগারগাঁও মোড়ে এ ঘটনা ঘটে।
তবে, রাজধানীর বিভিন্ন সড়কে অটোরিকশা চালকরা তাদের আন্দোলন স্থগিত করেছে। দুপুরে পুলিশের হস্তক্ষেপে তারা সড়ক থেকে ওঠে যান। এরপর থেকে সড়কে যান চলাচল স্বাভাবিক হচ্ছে। তাদের সঙ্গে দাবি নিয়ে খুব শিগগিরই ঊর্ধ্বতনরা বসবেন। এমন আশ্বাসে তারা সড়ক ছাড়েন।
সকাল থেকে রাজধানীর আগারগাঁও, কল্যাণপুর, গাবতলী, টেকনিক্যাল, মহাখালী, মোহাম্মদপুর, পল্লবী, ডেমরা এলাকায় সড়ক অবরোধ করে রেখেছিলেন ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা চালকরা।