চিন্ময় কৃষ্ণের গ্রেপ্তারে হাসিনার মায়াকান্না কেন : রিজভী
একটি রাষ্ট্রদ্রোহ মামলায় চিন্ময় কৃষ্ণকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তিনি দোষী না নির্দোষ, তার বিচার হবে প্রচলিত আইনে। এ নিয়ে হাসিনার কুমিরের মায়াকান্না কেন? এ প্রশ্ন করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী।
আজ বৃহস্পতিবার (২৮ নভেম্বর) বিকেলে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে ‘মহানায়ক জিয়াউর রহমান’ গ্রন্থের মোড়ক উন্মোচন ও রচনা প্রতিযোগিতার পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যকালে তিনি এই প্রশ্ন রাখেন।
চিন্ময় কৃষ্ণকে নিয়ে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বিবৃতির সমালোচনা করে রিজভী আহমেদ বলেন, আজকে তারা চিন্ময়কে মুক্তি দেওয়ার কথা বলে, যখন শেখ হাসিনার পোষ্য সন্তান ছাত্রলীগ-যুবলীগ বিশ্বজিৎকে শিবির সন্দেহে নৃশংসভাবে হত্যা করল, কই সেদিন তো ভারতীয় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কোনো উদ্বেগ ও বিবৃতি দেখলাম না। ভারতীয় পররাষ্ট্র দপ্তর তখন নিশ্চুপ থাকল কেন? যখন ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের নদীর বাঁধের পানি ছেড়ে দেওয়ার কারণে সৃষ্ট বন্যায় হিন্দু-মুসলিমের বাড়িঘর ক্ষতিগ্রস্ত হলো, তখন তো ভারতীয় পররাষ্ট্র দপ্তরের কোনো মায়া-দয়া দেখলাম না।
রিজভী আরও বলেন, আন্তর্জাতিক ষড়যন্ত্র করে বাংলাদেশকে দাবিয়ে রাখা যাবে না।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক নাছির উদ্দিন নাছির।
প্রধান আলোচক ছিলেন ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য প্রফেসর এম রফিকুল ইসলাম। আলোচক ছিলেন নওগাঁ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. এম হাছানাত আলী।
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের আহ্বায়ক সুলতান আহমেদ রাহীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে ছাত্রদল নেতারাও বক্তব্য দেন।