মির্জা ফখরুল ১০ দিনের সফরে যুক্তরাজ্যে যাচ্ছেন আজ
বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ১০ দিনের সফরে আজ শনিবার (৩০ নভেম্বর) যুক্তরাজ্যে যাচ্ছেন। যুক্তরাজ্যের লন্ডনে অবস্থানকালে তিনি রাজনৈতিক ও বিএনপির দলীয় কাজে ব্যস্ত থাকবেন। এ সময় লন্ডনে অবস্থানরত দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের সঙ্গেও তার সাক্ষাৎ করার কথা রয়েছে। বিএনপির মিডিয়া সেল সূত্রে এসব কথা জানা গেছে।
শিক্ষার্থী-জনতার সম্মিলিত আন্দোলনের মাধ্যমে গত ৫ আগস্ট ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর গঠিত অন্তর্বর্তী সরকারকে বিএনপি সমর্থন জানিয়েছে এবং এ সরকারের প্রতি দলটি এখনও আস্থা ও বিশ্বাস রেখে সমর্থন অটুট রেখেছে। একই সঙ্গে সরকারের সংস্কারের উদ্যোগেও সহযোগিতা করছে। তবে অন্তর্বর্তী সরকারের তিন মাস ১০ দিন অর্থাৎ ১০০ দিন পার হলেও জাতীয় নির্বাচন সংক্রান্ত কোনো রোডম্যাপ এখনও পর্যন্ত তাদের পক্ষ থেকে দেওয়া হয়নি। এ নিয়ে বিএনপির ভেতরে এক ধরনের অস্থিরতার পাশাপাশি নানা আলোচনা রয়েছে। কারণ, বিএনপি মনে করে, দেশের সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় নির্বাচনের মাধ্যমে একটি রাজনৈতিক সরকার ব্যবস্থার কোনো বিকল্প নেই। তাই, এ দলটি শুধু নির্বাচন ব্যবস্থা-সম্পর্কিত সংস্কার সম্পন্ন করেই দ্রুত ভোটের ব্যবস্থা গ্রহণের প্রতিশ্রুতি চাইছে।
বিএনপির শীর্ষস্থানীয় নেতারা ইতোমধ্যে মাঠে-ময়দানে নির্বাচনের বিষয়ে গুরুত্ব দিয়ে বক্তব্য দিচ্ছেন। দলগতভাবে ভেতরে-ভেতরে তাদের প্রস্তুতিও চলছে। একইসঙ্গে আওয়ামী লীগের দীর্ঘ সাড়ে ১৫ বছরের শাসনের বিরুদ্ধে আন্দোলনে যেসব দল ও জোট বিএনপির সঙ্গে ছিল, সেসব মিত্রদেরও নির্বাচনে পাশে রাখতে চাচ্ছে দলটি। এ ছাড়া জামায়াতে ইসলামীসহ ইসলামি দলগুলোর নির্বাচনকালীন অবস্থান কী হয়? সে বিষয়েও দলের পক্ষ থেকে নজর রাখা হচ্ছে। এই প্রেক্ষাপটে দলের মহসচিব হিসেবে মির্জা ফখরুলের লন্ডন সফর খুবই গুরুত্ববহ। বিএনপি সূত্রে জানা গেছে, এই সফরে লন্ডনে অবস্থানরত দলটির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের সঙ্গে মির্জা ফখরুলের দেখা হবে।
মিডিয়া সেলের একটি সূত্র জানিয়েছেন, আগামী ১১ ডিসেম্বর দলের মহাসচিবের দেশে ফেরার কথা রয়েছে। তিনি দেশে ফেরার পর বিএনপি চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া চিকিৎসার জন্য লন্ডন যেতে পারেন। তাঁর লন্ডন যাওয়ার সম্ভাব্য দিন ধার্য করা হয়েছে আগামী ১৩ ডিসেম্বর। সে জন্য প্রস্তুতিও নেওয়া হচ্ছে বলে জানা গেছে।
এর আগে, বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে জানান, বেগম খালেদা জিয়া প্রথমে যুক্তরাজ্যে চিকিৎসা করাবেন। সেখান থেকে পরবর্তীতে তিনি চিকিৎসার জন্য যুক্তরাষ্ট্রেও যেতে পারেন।