আসুন রাজনৈতিক বিভেদ ভুলে ঐক্যবদ্ধ হই, সূচনা করি নতুন অধ্যায়ের : তারেক রহমান
বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল-‘বিএনপি’র ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান রাজনৈতিক হানাহানি ভুলে গিয়ে ইতিহাসের পাতায় নতুন একটি অধ্যায় সৃষ্টির লক্ষ্যে জাতীয় ঐক্য গড়ে তোলার জন্য সকলের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন। তিনি বলেন, ‘নতুন অধ্যায় হতে হবে এমন, যেখানে কারও জীবন ও পরিবার রাজনৈতিক মতপার্থক্যের কারণে ধ্বংস হবে না।’
তারেক রহমান গতকাল রোববার (১ ডিসেম্বর) এক টুইট বার্তায় ভেরিফাইড এক্স হ্যান্ডেল এবং ভেরিফাইড ফেসবুক পোস্টে পৃথকভাবে একই বিষয়বস্তুর ওপর জোর দিয়ে বলেন, ‘আসুন রাজনৈতিক হানাহানি ভুলে আমরা ঐকবদ্ধ হই, যেখানে রাজনৈতিক মতপার্থক্যের কারণে কারো জীবন ও পরিবার ধ্বংস হবে না।’ তিনি বলেন, সত্যের সৌন্দর্য্য হলো যে অপপ্রচারের বিরুদ্ধে সত্যের জয় অবশ্যম্ভাবী এবং মানুষকে আশ্বস্ত করা যে, ন্যায় বিচার এবং সত্যতা আপনা আপনি জয়লাভ করে।
তারেক রহমান গণতন্ত্রের চেতনাকে সমুন্নত রাখার অঙ্গীকার ব্যক্ত করেন, যার মাধ্যমে বিশ্বাস ও আস্থা, বৈচিত্র্যতা ও আদর্শ, বাংলাদেশের মানুষের ক্ষমতায়নে নির্বাচনে অংশ গ্রহণের মাধ্যমে নিজেরাই নিজেদের ভাগ্য নির্ধারণ করবে।
তারেক রহমান বলেন, ‘এই অভিযাত্রায় আমরা প্রত্যাশা করি আইনের শাসন, মানবাধিকার, এবং মতপ্রকাশের স্বাধীনতা, প্রতিটি নাগরিকের অধিকার ও স্বাধীনতা রক্ষা এবং অন্তর্ভুক্তিমূলক, সহনশীল এবং আইন ভিত্তিক সমাজ প্রতিষ্ঠার অধিকার থাকবে।’
তারেক রহমান রোববার তার একটি মামলায় হাইকোর্ট বিভাগের দেওয়া এক রায়ে তাকেসহ মামলার সকল আসামিকে বেকসুর খালাস দেওয়ার কয়েক ঘণ্টা পর সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এই অনুভূতি ব্যক্ত করেন।
তারেক রহমানসহ মামলার অন্য আসামিদের হত্যা ও বিস্ফোরক আইনে দায়ের করা দু’টি মামলায় নিম্ন আদালতে দোষী সাব্যস্ত করে রায় দিয়েছিল। ২০০৪ সালের ২১ আগস্ট রাজধানীর বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে গ্রেনেড হামলা মামলায় এই রায় দেওয়া হয়েছিল।
হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতি একেএম আসাদুজ্জামান এবং বিচারপতি সৈয়দ এনায়েত হোসাইনের সমন্বয়ে গঠিত একটি বেঞ্চ নিম্ন আদালতের রায় বাতিল করে রোববার এই রায় দেন। হাইকোর্টের রায়ে বিএনপি’র পক্ষ থেকে সন্তোষ প্রকাশ করা হয়েছে।