যুবদল নেতা হত্যার ১০ বছর পর আদালতে মামলা
সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলার সয়দাবাদ ইউনিয়ন যুবদলের সহসভাপতি জবান আলীকে অপহরণের পর হত্যার ১০ বছর পর মামলা করা হয়েছে।
আজ মঙ্গলবার (৩ জানুয়ারি) সিরাজগঞ্জ সদর আমলী আদালতে যুবদল নেতা জবান আলী হত্যার ঘটনায় মামলাটি করেন তাঁর বড় ভাই আব্দুল হামিদ।
মামলার অভিযোগে উল্লেখ করা হয় ২০ লাখ টাকা চাঁদা না দেওয়ায় জবান আলীকে অপহরণের পর হত্যা করা হয়েছে। মামলায় ২৯ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতপরিচয় আরও চার থেকে পাঁচজনকে আসামি করা হয়েছে। আসামিদের মধ্যে রয়েছেন সদর উপজেলার সয়দাবাদ ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক নবীদুল ইসলাম, ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সহসাধারণ সম্পাদক হাজি মাসুদ, ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক নবীদুল ইসলামের ভাই আব্দুল মমিন, ইউনিয়ন যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক রিগেন তালুকদার, ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি আজিজল মণ্ডল, ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি বেলাল হোসেন।
আদালতের অতিরিক্ত পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) নাসির উদ্দিন মামলার তথ্য নিশ্চিত করে বলেন, আদালতের বিচারক বিল্লাল হোসাইন মামলাটির শুনানি করেছেন। কাগজপত্র দেখে পরে আদেশ দেবেন।
মামলার অভিযোগপত্রে আরও উল্লেখ করা হয়েছে, আসামিদের সঙ্গে মামলার বাদী ও তার ভাই জবান আলীর রাজনৈতিক ও সামাজিক বিষয় নিয়ে বিরোধ চলে আসছিল। এই বিরোধের জেরে আসামিরা যুবদল নেতা জবান আলীর কাছে ২০ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করেন। চাঁদা না দেওয়ায় জবান আলীকে মারপিট করে হত্যা করে মরদেহ গুম করবে বলে পরিকল্পনা করে। ২০১৪ সালের ১৬ জানুয়ারি জবান আলী ব্যক্তিগত কাজে ঢাকায় য়ান। ১৯ জানুয়ারি ঢাকা থেকে ফিরে সদর উপজেলার সয়দাবাদ ইউনিয়নের কড্ডার মোড়ে পৌঁছালে আসামিরা জবান আলীকে অপহরণ করে দুটি সাদা রঙের হায়েস মাইক্রোবাসে করে চলে যান। পরে তাঁরা জবান আলীর মোবাইল ফোন থেকে ভাই আব্দুল হামিদের মোবাইল ফোনে কল করে ২০ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করেন।
২০ জানুয়ারি বিকেলে আসামি নবীদুল ইসলামের বাড়িতে, হাজি মাসুদ, আব্দুল মমিন, মজনু ও রিগেন তালুকদারের কাছে ১০ লাখ টাকা মুক্তিপণ দেওয়া হয়। তার পরও আসামিরা তাঁকে মুক্তি দেয়নি। পরে পরিবারের পক্ষ থেকে অনেক খোঁজাখুঁজির পর ৬ ফেব্রুয়ারি সকালে সদর উপজেলার কোনাগাতী ব্রিজ এলাকায় জবান আলীর মরদেহ পড়ে থাকতে দেখে এলাকাবাসী। খবর পেয়ে পুলিশ তাঁর মরদেহ উদ্ধার করে মর্গে পাঠায়। এরপর পরিবারের পক্ষ থেকে মামলা করতে চাইলে আসামিরা পরিবারের সদস্যদের ভয়ভীতি দেখান এবং তাঁদেরও হত্যার হুমকি দেন। এ কারণে ঘটনার সময় মামলা করতে পারেননি বলে অভিযোগপত্রে উল্লেখ করা হয়েছে।