পতিত স্বৈরাচার আবার ক্ষমতা দখলের দিবাস্বপ্ন দেখছে : ডা. জাহিদ
পতিত স্বৈরাচার আবার ক্ষমতা দখলের ‘দিবা স্বপ্ন’ দেখছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য অধ্যাপক ডা. এজেডএম জাহিদ হোসেন।
আজ শনিবার (৭ ডিসেম্বর) দুপুরে এক আলোচনা সভায় বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ডা. জাহিদ এই মন্তব্য করেন।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির এই সদস্য বলেন, বাংলাদেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র শুধু ওই চিন্ময়ের জন্য তা না। এই ষড়যন্ত্র বাংলাদেশের অস্তিত্বের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র… এই বাংলাদেশকে ধ্বংস করে দেওয়া, বাংলাদেশকে কেউ কেউ বিভিন্নভাবে হুমকি দেওয়ার চেষ্টা করে…. এই চিকেন নেক দখল করে নেবে। আরে ভাই দখলের দিন শেষ। বুঝতে হবে… এতো বাহিনী থাকার পরেও পালিয়ে যেতে হয়েছে… ১৮ কোটি মানুষের ৩৬ কোটি হাত থাকার পরে দখলের স্বপ্ন দেখেন…সেই স্বপ্ন দিবা স্বপ্ন থেকে যাবে। ৩৬ কোটি হাত প্রতিরোধ করবে। সংস্কার-আধিপত্যবাদী-সম্প্রসারণবাদী যেকোনো উদ্যোগকে এই সরকারই শুধু নয়, এদেশের ১৮ কোটি মানুষ ঐক্যবদ্ধভাবে প্রতিরোধ করবে… যেকোনো পরিস্থিতিতে তারা তাদের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব অক্ষুণ্ন রাখার জন্য শেষ রক্ত বিন্দু দিয়েও চেষ্টা করবে।
অধ্যাপক জাহিদ বলেন, আমরা আজ শুধু প্রতিবাদ জানাচ্ছি এই টুকুই না… আমাদের মনে রাখতে হবে যে, ষড়যন্ত্র দেশের বিরুদ্ধে দীর্ঘদিন ধরে চলছে, ষড়যন্ত্র শেষ হয়নি। কোনো অবস্থাতে ভাবার কারণ নাই আপনার অধিকার আপনি এমনি এমনি ফেরত পাবেন। যেরকমভাবে তারেক রহমান সাহেব বলেছেন, আন্দোলনে ছিলেন, আন্দোলনে আছেন ও থাকবেন। আগামী দিনের লড়াই হবে আরও কঠিন। দেখেন, আস্তে আস্তে আমাদের সামনে কঠিন সময় আসতেছে। এই সময় দরকার ঐক্য। শুধু ঐক্যই পারে যেকোনো ষড়যন্ত্রকে ছিন্ন করতে ও সম্প্রসারণবাদী ষড়যন্ত্রকারীদের প্রতিরোধ করতে।
জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে ভয়েস অব টাইমস নামে সংগঠনের উদ্যোগে ভারতের আগরতলায় বাংলাদেশের উপ-হাইকমিশনে উগ্রবাদী হিন্দুদের হামলা এবং ভারতীয় আগ্রাসনের প্রতিবাদে এই সমাবেশ হয়। সমাবেশের পর বিক্ষোভ মিছিলও করে সংগঠনটি।
অধ্যাপক ডা. এজেডএম জাহিদ হোসেন বলেন, আগের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মোমেন সাহেব দিল্লিতে গিয়ে বলেছিলেন, তারা (ভারত) আমাদের সাথে বিলিয়ন বিলিয়ন ডলারের বাণিজ্য করে, আমাদের দেশে যখন পেঁয়াজের দাম বাড়ে তখন তারা পেঁয়াজ রপ্তানি বন্ধ করে… আমাদের দেশের মানুষের যখন পানি দরকার তখন নদীতে বাঁধ দেয়…তারা পানি দেয় না। কয়েকদিন আগেও যখন তাদের দেশে বন্যা হতে থাকে তখন ফেনীর এখানে বাঁধ খুলে দিল। তাতে ফেনী, নোয়াখালী, লক্ষ্মীপুর, কুমিল্লা, সুনামগঞ্জ, হবিগঞ্জ, পাবর্ত্য চট্টগ্রামের খাগড়াছড়ি ভেসে গেলো। আবার তিস্তাতেও গজলডোবার বাঁধ খুলে দিলো তাতে রংপুর, গাইবান্ধাসহ সবটা ভেসে গেলো অর্থাৎ তারা শুষ্ক মৌসুমে আমাদেরকে পানি দেয় না, আর বর্ষাকালে পানি ছেড়ে দিয়ে কষ্ট দেয়… তারা আমাদেরকে এভাবে শোষণ করতে চায়, নিয়ন্ত্রণ করতে চায়।