দেশের মানুষ দিল্লির আধিপত্যবাদ প্রতিহত করতে প্রস্তুত : রিজভী
ভারতের উদ্দেশে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, আমরা আকাশ-পাতাল, ভূমি সব দিক দিয়ে দেশকে নিরাপদ রাখতে সর্বোচ্চ সরঞ্জাম ব্যবহার করতে জানি। আমাদের সামরিক বাহিনীর সদস্যরা আছে। দেশের ১৮ কোটি মানুষ দিল্লির আধিপত্যবাদ প্রতিহত করতে প্রস্তুত আছে।
আজ রোববার (৮ ডিসেম্বর) নয়াপল্টনে যুবদল-স্বেচ্ছাসেবক দল ও ছাত্রদলের পক্ষ থেকে ভারতীয় দূতাবাস অভিমুখে পদযাত্রা শুরুর আগে এসব কথা বলেন রুহুল কবির রিজভী।
রিজভী বলেন, আমাদের এই কর্মসূচি শান্তিপূর্ণ। সুশৃঙ্খলভাবে আমরা এই পদযাত্রা করবো। ভারত নানা ধরনের ষড়যন্ত্র করছে। আমরা শান্তির পক্ষে। ভারতের মন ভালো নেই। কারণ তাদের সঙ্গে ভুটান নেই, নেপাল নেই। কেউ তাদের সঙ্গে বন্ধুত্ব করতে পারে না। এখন বাংলাদেশকে নিয়েও তারা ষড়যন্ত্র করছে।
ভারতের ভিসা দেওয়া বন্ধ করার প্রসঙ্গ তুলে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব বলেন, কোনো লাভ নেই। ভিসা বন্ধ করে তো আমাদের উপকারই করেছে ভারত। ডলার পাচার হবে না। অনেক টাকা চলে যেত ভারতে যেতে আসতে। এখন টাকাও যাবে না। আর ভোগ্যপণ্য না দিলে দেশের মানুষ বেশি পরিশ্রম করে ফসল উৎপন্ন করবে। আমাদের রিজার্ভ বাড়বে। এতে আমাদের লাভই হলো।
ভারতের লোকজন বাংলাদেশের ইলিশের জন্য তাকিয়ে থাকে এমন ইঙ্গিত দিয়ে রিজভী বলেন, আমাদের সুস্বাদু ইলিশের জন্য সবাই তাকিয়ে থাকে। ইলিশ নেন কেন? আসলে ভারত সবসময় বিদ্বেষ ছড়ায়। এরা বাংলাদেশকে সহ্য করতে পারে না। সীমান্তে কড়াকড়ি করে তো লাভ হয়েছে। সীমান্ত দিয়ে ফেনসিডিল আসত। আরও মাদক আসত। এখন আসা বন্ধ।
ভারতের গণমাধ্যমে চট্টগ্রাম দখলে নেওয়ার কথা বলা প্রসঙ্গে রিজভী বলেন, আপনারা চট্টগ্রাম নেওয়ার কথা বলেছেন। তাহলে আমাদের বিহার উড়িষ্যাও ফেরত দাও। আমরা এটা দাবি করছি।
অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী ছাড়াও যুবদলের সভাপতি আবদুল মোনায়েম মুন্না, সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ নুরুল ইসলাম নয়ন, স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি এস এম জিলানী ও সাধারণ সম্পাদক রাজিব আহসান, জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের সভাপতি রাকিবুল ইসলাম রাকিব ও সাধারণ সম্পাদক নাসির উদ্দীন নাসিরসহ অন্যান্য নেতাকর্মীরা এই পদযাত্রায় অংশ নেন।
বিএনপির পক্ষ থেকে জানানো হয়, ভারতের কলকাতা ও আগরতলায় বাংলাদেশের সহকারী হাইকমিশনে হামলা ও জাতীয় পতাকার অবমাননা এবং সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা সৃষ্টির অপচেষ্টার প্রতিবাদে বিএনপির অঙ্গ সংগঠন জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল, যুবদল ও স্বেচ্ছাসেবক দল যৌথভাবে এ কর্মসূচির ডাক দিয়েছে। প্রতিবাদী পদযাত্রা নিয়ে ভারতীয় দূতাবাসে যাওয়া হবে। সেখানে স্মারকলিপি দেবে যুবদল, স্বেচ্ছাসেবক দল ও ছাত্রদল।