নদীতে নিখোঁজ বরিশালে ৩ জনের মরদেহ উদ্ধার
বরিশালের কীর্তনখোলা নদীতে বাল্কহেডের সঙ্গে সংঘর্ষে যাত্রীবাহী স্পিডবোট ডুবে যাওয়ার ঘটনায় নিখোঁজ আরও তিনজনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। আজ রোববার (৮ ডিসেম্বর) সকালে এই তিনজনের ভাসমান মরদেহ উদ্ধার করে নৌপুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা।
তিনজনের মধ্যে দুজন যাত্রী ও অন্যজন স্পিডবোটের চালক। এ নিয়ে এই দুর্ঘটনায় নিখোঁজ চার জনের লাশ উদ্ধার করা হলো।
নৌপুলিশ জানিয়েছে, সকাল সাড়ে ৮টা থেকে সাড়ে ৯টার মধ্যে একে একে দুর্ঘটনাস্থল কীর্তনখোলা নদীর লাহারহাট খালের প্রবেশমুখে জনতার হাট সংলগ্ন নদীতে তিনটি মরদেহ ভেসে ওঠে। পরে পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা খবর পেয়ে লাশ তিনটি উদ্ধার কর। এখনো একজন যাত্রী নিখোঁজ আছে বলে জানা গেছে। সজল দাস (৩০) নামে ওই যাত্রী বরিশাল নগরীর বিমানবন্দর থানার রহমতপুর এলাকার দুলাল দাসের ছেলে। তিনি ভোলায় ব্র্যাকের যক্ষ্মা নিয়ন্ত্রণ কর্মসূচিতে চাকরি করতেন।
গত বৃহস্পতিবার বিকেলে জনতার হাট খেয়াঘাট এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে। এতে স্পিডবোটের এক যাত্রী মারা যান এবং এক পুলিশ সদস্য গুরুতর আহত হন। এ ঘটনায় স্পিডবোটের চালক ও কয়েকজন যাত্রী নিখোঁজ রয়েছেন বলে জানিয়েছিল নৌপুলিশ। তবে নিখোঁজদের ব্যাপারে সুনির্দিষ্ট তথ্য পাওয়া যাচ্ছিল না।
পুলিশ জানায়, দুর্ঘটনাস্থলের কাছাকাছি স্থান থেকেই মরদেহ তিনটি উদ্ধার করা হয়েছে। এসব লাশ উদ্ধারের পর সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরি করে পুলিশ। পরে তিনটি লাশ ময়নাতদন্তের জন্য বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়। ময়নাতদন্ত শেষে লাশগুলো পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে। উদ্ধার হওয়া তিনজনের মধ্যে একটি স্পিডবোট চালক আল আমিন (২৩) এবং অপর দুটি যাত্রী মো. ইমরান হোসেন ওরফে ইমন (২৯) ও মো. রাসেল আমিনের (২৪) বলে স্বজনরা শনাক্ত করেছেন। এছাড়া দুর্ঘটনার পর গত বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় জালিস মাহমুদ (৫০) নামে এক যাত্রীর লাশ উদ্ধার হয়েছিল।