বেগম রোকেয়া পদক অনুষ্ঠানে প্রধান উপদেষ্টা
অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস বেগম রোকেয়া পদক প্রদান অনুষ্ঠানে যোগ দিয়েছেন। আজ সোমবার (৯ ডিসেম্বর) ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয। প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং থেকে এ তথ্য জানানো হয়।
নারী জাগরণের অগ্রদূত বেগম রোকেয়া সাখাওয়াত হোসেনের ১৪৪তম জন্মবার্ষিকী ও ৯২তম মৃত্যুবার্ষিকী আজ সোমবার ৯ ডিসেম্বর। এ দিন উপলক্ষে নারী ও শিশুবিষয়ক মন্ত্রণালয় দেশের নারীর ক্ষমতায়নে অসামান্য অবদানের জন্য নারীদের ‘বেগম রোকেয়া পদক’ দেওয়ার অনুষ্ঠান আয়োজন করেছে।
প্রধান উপদেষ্টার প্রেস ইউং তাদের সরকারি ফেসবুক ভেরিফায়েড পেজ থেকে অনুষ্ঠানের কয়েকটি ছবি পোস্ট করেছে। সেখানে ক্যাপশনে লেখা হয়, এই বছরের নারীদের জন্য বাংলাদেশের সর্বোচ্চ সম্মানের প্রাপকদের উদযাপনের জন্য প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে রোকেয়া পদক ২০২৪ অনুষ্ঠানে যোগ দেন।
প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূস সমাজের সুবিধাবঞ্চিত নির্যাতিত ও অসহায় নারীদের অবস্থার উন্নয়নে কাজ করে বেগম রোকেয়ার স্বপ্ন বাস্তবায়নে ভূমিকা রাখতে নারীদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন। ‘বেগম রোকেয়া দিবস’ ও ‘বেগম রোকেয়া পদক প্রদান’ উপলক্ষে দেওয়া এক বাণীতে তিনি বলেন, ‘আমি আশা করি, বেগম রোকেয়ার মতো নারীরা নিজ নিজ অবস্থানে থেকে সমাজের সুবিধাবঞ্চিত নির্যাতিত ও অসহায় নারীদের অবস্থা ও অবস্থান উন্নয়নে কাজ করে বেগম রোকেয়ার স্বপ্ন বাস্তবায়ন করবে।’
প্রধান উপদেষ্টা বলেন, নারী জাগরণের পথিকৃত, শিক্ষাবিদ, সাহিত্যিক ও সমাজ সংস্কারক মহীয়সী নারী বেগম রোকেয়ার অবদান অবিস্মরণীয়। প্রতি বছরের মতো এ বছরও ‘বেগম রোকেয়া দিবস-২০২৪’ পালিত হচ্ছে। বেগম রোকেয়া সাখাওয়াত হোসেনের স্মৃতির প্রতি আমি গভীর শ্রদ্ধা জানাই। তিনি বলেন, বেগম রোকেয়া ঊনবিংশ শতাব্দীর কুসংস্কারাচ্ছন্ন সমাজের চার দেয়ালে আবদ্ধ থেকে তার ক্ষুরধার লেখনীর মাধ্যমে পুরুষের পাশাপাশি নারীদের শিক্ষিত করে গড়ে তোলার স্বপ্ন দেখেছিলেন। আজ একবিংশ শতাব্দীতে এসে আমরা তার স্বপ্নের বাস্তবায়ন দেখতে পাই।
এরই ধারাবাহিকতায় মহিলা ও শিশুবিষয়ক মন্ত্রণালয় বিভিন্ন কার্যক্রম বাস্তবায়ন করছে উল্লেখ করে মুহাম্মদ ইউনূস বলেন, নারীদের প্রশিক্ষণের মাধ্যমে উদ্যোক্তা হিসেবে গড়ে তোলার লক্ষ্যে প্রয়োজনীয় সহায়তা প্রদান করা হচ্ছে। কর্মজীবী হোস্টেলের মাধ্যমে কর্মজীবী নারীদের নিরাপদ আবাসন ব্যবস্থা করা হচ্ছে। কিশোরীদের বাল্যবিবাহ রোধে সচেতনতা অব্যাহত রয়েছে। নারী ও শিশু নির্যাতন প্রতিরোধ সেল, নারী পাচার রোধ, ওয়ান স্টপ ক্রাইসিস সেন্টার, ন্যাশনাল হেল্পলাইন সেন্টার (১০৯), ন্যাশনাল ট্রমা কাউন্সিলিং সেন্টারসহ নানাবিধ কর্মসূচি ও প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। বেগম রোকেয়ার কর্ম ও আদর্শের মূলমন্ত্রে উজ্জীবিত হয়ে নারীদের উন্নয়নে নিজেদের সম্পৃক্ত করায় বেগম রোকেয়া পদক প্রাপ্তদের তিনি আন্তরিক অভিনন্দন জানান।
প্রধান উপদেষ্টা ‘বেগম রোকেয়া দিবস-২০২৪’ ও ‘বেগম রোকেয়া পদক প্রদান-২০২৪’ অনুষ্ঠানের উত্তরোত্তর সাফল্য কামনা করেন।